উত্তরাখণ্ডের লকেট শান্তনুর প্রচার ঘিরে অস্বস্তি
নিউজ ডেস্ক:উত্তরাখণ্ডে লকেট-শান্তনুর প্রচার ঘিরে নয়া অস্বস্তি বিজেপিতেদলে ভারী হচ্ছে বঙ্গ বিজেপির বিদ্রোহীরা! উত্তরাখণ্ডে শান্তনু ঠাকুর এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠক ঘিরে ফের গুঞ্জন শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। উত্তরাখণ্ডের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় ভোটের প্রচারে বাংলায় দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের মুখ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকেই বেছে নিয়েছেন সেখানকার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা লকেট চট্টোপাধ্যায়। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুর বিধানসভা এলাকায় বাঙালি পল্লিতে শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে প্রচার করালেন লকেট। এরপরই দলের মধ্যে প্রশ্ন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দিয়ে উত্তরাখণ্ডের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় ভোটের প্রচারের জন্য শান্তনু ঠাকুরকেই বা কেন আমন্ত্রণ জানালেন লকেট?গত কয়েকমাস ধরেই বাংলায় একের পর দলীয় কর্মসূচি লকেটহীন। হুগলির সাংসদ মাটি কামড়ে পড়ে উত্তরাখণ্ডে। সেখানে বাংলার এই দাপুটে সাংসদকে বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছেন শাহ-নাড্ডা। কিন্তু বাংলা থেকে একেবারেই উধাও কেন তিনি? লকেটের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, যেভাবে রাজ্য বিজেপি চলছে তাতে তিনি হতাশ এবং বিরক্তও বটে। রাজ্যেও লকেটকে যথাযথ কোনও কাজ দেওয়া হয়নি। সম্ভবত সেই কারণেই নিজের মতো করে উত্তরাখণ্ডে দলের কাজ করছেন হুগলির সাংসদ। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও মনে করছেন, লকেট ভাল কাজ করছে। এই মুহুর্তে রাজ্য বিজেপিতে মুষলপর্ব চলছে। যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেই বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতৃত্বে শান্তনু ঠাকুর। বঙ্গ বিজেপির অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে, শুভেন্দুও তো বাংলার নেতা। তাঁকে বাদ দিয়ে কেন শান্তনু ঠাকুরকে উত্তরাখণ্ডে ডাকলেন লকেট? যদিও লকেটের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্র বলছে, উত্তরাখণ্ডে বহু মতুয়া রয়েছে। মতুয়াদের নেতা হিসেবেই শান্তনু প্রচারে গিয়েছেন। তবে দলের একাংশ কিন্তু শান্তনুকে প্রচারে ডাকার পিছনে নতুন সমীকরণই দেখছে।