হাওড়া থেকে কি গড়াবে বুলেট ট্রেনের চাকা?
নিউজ ডেস্ক:হাওড়া থেকে কি গড়াবে বুলেট ট্রেনের চাকা? রেল বোর্ডের থেকে তেমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। হাওড়া – বারাণসী রুটে ওই বুলটে ট্রেন চালানোর কথা ভাবছে ভারতীয় রেল। মোট ৮ টি রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর সমীক্ষা শুরুর কথা ভাবছে।রেলওয়ে বোর্ড সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে। কলকাতাবাসীর জন্য এক দারুণ খবর। এতদিন পর্যন্ত বুলেট ট্রেন আমরা দেখেছে টিভি স্ক্রিনে, সিনেমার পর্দায়। সব ঠিক থাকলে জাপানের মতোই বুলেট ট্রেনের দেখা মিলতে পারে হাওড়াতেও। হাওড়া থেকে বারণসী পর্যন্ত এই বুলটে ট্রেন। ভারতে বুলেট ট্রেন প্রোগ্রামের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে রেল মন্ত্রকের তরফে সাতটি উচ্চ গতির রেল করিডোরের জন্য ডিপিআর প্রস্তুত করছে। শুক্রবার রাজ্যসভায় একটি লিখিত জবাবে এই কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এগুলি সাতটি করিডোরের মধ্যে রয়েছে, দিল্লি – বারাণসী, দিল্লি – অমৃতসর, দিল্লি – আমেদাবাদ, মুম্বই – নাগপুর, মুম্বই – হায়দরাবাদ, চেন্নাই – বেঙ্গালুরু – মাইসুরু এবং বারাণসী – হাওড়া।এর আগে মিন্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড থেকে নয়া দিল্লি – বারাণসী করিডোরের জন্য ডিপিআর তৈরি হয়ে গিয়েছে এবং মুম্বই – নাগপুর করিডোরের জন্য ডিপিআরটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, বারণসী – হাওড়া হাই স্পিড রেল করিডোর রাজ্যবাসীর জন্য এক বড় খবর। এই হাই স্পিড করিডোরের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে, বারাণসীর সঙ্গে হাওড়ার রেল পথে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। প্রকল্পিত এই রুটটির মাধ্যমে তিনটি বড় শহরকে যুক্ত করা যাবে – কলকাতা, পটনা এবং বারাণসী। মোট ৭৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই রুটটি। এই রুটটি একবার চালু হয়ে গেলে, খুব কম সময়ের মধ্যেই কলকাতা থেকে বারাণসী পৌঁছে যাওয়া যাবে। সময় লাগবে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তবে কোন কোন স্টেশনে এই বুলেট ট্রেন দাঁড়াবে, তা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।,ভারতের প্রথম প্রস্তাবিত বুলেট ট্রেনের রুট হল মুম্বই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে। তবে এনএইচএসআরসিএলের এই প্রকল্পের কাজ তুলনামূলকভাবে কিছুটা ধীরেই এগোচ্ছে। মূলত, কোন রুট দিয়ে বুলেট ট্রেন ছুটবে তা নির্ধারণ করা এবং অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কিছু সমস্যার কারণে কাজের গতি ব্যাহত হচ্ছে মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ রুটের বুলেট ট্রেন প্রকল্পে। উল্লেখ্য, জাপানি ই-৫ শিনকানসেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হবে এই বুলেট ট্রেন। ট্রেনগুলির গতি থাকবে প্রতি ঘন্টায় ৩০০ কিলোমিটার।