কলকাতায় বিচারকের টুকলি ,জামিনের নির্দেশনামায়, কী ব্যবস্থা নিলেন বিচারপতি
নিউজ ডেস্ক একটি শ্লীলতাহানির মামলায় অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করেছিলেন আলিপুর আদালতে। কিন্তু যে ভাবে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছিল সেটা দেখে হতবাক কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এদিন শোকজ করলেন আলিপুর আদালতের ওই এসিজেএম-কে
কেন তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করা হবে না, সেই জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা জজের কাছে সেই জবাব তাঁকে দিতে হবে। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে এই রায়ের প্রতিলিপি জেলা জজকে পাঠিয়ে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি চৌধুরী। অভিযোগ, আগে থেকে ছাপিয়ে রাখা ফরম্যাটে সই করে জামিনের রায় দিয়েছেন আলিপুর আদালতের ওই বিচারক।
জামিন খারিজের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই তরুণীর পরিবার। হাইকোর্টে সরকারি কৌঁসুলি অনসূয়া চৌধুরী শুনানিতে বলেছেন, যেভাবে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা বেআইনি। অন্যদিকে তরুণীর আইনজীবী অপলক বসু আদালতকে জানান, কোনও নিয়ম না মেনেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। তিনি সেই রায়ের নথিও পেশ করেছেন হাইকোর্টে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আগে থেকে জামিনের রায় তৈরি করে রাখা রয়েছে। মাঝখানে নাম ধাম লেখার জন্য কিছু ফাঁক রাখা রয়েছে। সেখানেই হাতে লিখে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে। যাকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলেছে হাইকোর্ট। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিচারকের বক্তব্য অনেক চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।