না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পপতি রাহুল বাজাজ
নিউজ ডেস্ক দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পপতি ও বাজাজ অটোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাহুল বাজাজ। শনিবার মহারাষ্ট্রের পুণেতে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন প্রয়াত বাজাজ।
রেখে গেলেন দুই ছেলে রাজীব বাজাজ, সঞ্জীব বাজাজ, কন্যা সুনয়না কাঞ্জিলাল সহ অগণিত অনুরাগীকে। রাহুল বাজাজের অকালপ্রয়াণে শিল্পমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৩৮ সলের ১০ জুন দেশের অন্যতম ব্যবসায়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাহুল বাজাজ। তাঁর ঠাকুর্দা যমুনালাল বাজাজ ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। মুম্বইতে পড়াশোনা শুরু হয় তাঁর। পরে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পরে উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনে যান। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে পারিবারিক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। মাত্র ২৭ বছর বয়সে দেশের অন্যতম শিল্পসংস্থা বাজাজ গ্রুপের দায়িত্ব পান। তার পরে নিজের উদ্ভাবনী শক্তি ও প্রচেষ্টায় সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যান। সংস্থার উত্পাদিত বিভিন্ন পণ্য দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেন।
দেশের শিল্পক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০১ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের জমানায় রাহুল বাজাজকে পদ্মবিভূষণ সম্মাননা দেওয়া হয়। যদিও তিনি কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন। এক সময়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ হয়। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বাজাজ গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০০৫ সালে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দেন দুই ছেলে রাজীব বাজাজ ও সঞ্জীব বাজাজের হাতে। যাতে সম্পত্তির অধিকার নিয়ে পরবর্তীকালে পারিবারিক বিবাদ না হয় তার জন্য ২০০৮ সালে বাজাজ অটোকে ভেঙ্গে তিনটি সংস্থা তৈরি করেন রাহুল বাজাজ। দীর্ঘ দিন ধরেই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পপতি। নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। মারণ রোগ এদিন দুপুরে কেড়ে নিল দেশের অন্যতম আইকনকে।