বন্ধ স্কুলে বিদ্যুতের বিল লাখখানেক টাকা
0
0
নিউজ ডেস্ক করোনার জন্য দু’বছর বন্ধ থাকার পরেও, রাজ্য বিদ্যুত্ বন্টন সংস্থার পাঠানো লাখখানেক টাকার বিল দেখে মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে মাধবডিহির একলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বিল দিতে না পারায়, তিন মাস আগে স্কুলের বিদ্যুত্ সংযোগ কেটেও দিয়েছে ওই সংস্থা। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে, সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে রায়না ২ ব্লক প্রশাসন।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ‘সোলার প্যানেল’ অকেজো হয়ে গিয়েছে। সৌর বিদ্যুত্ও উত্পন্ন হচ্ছে না। ফলে, স্কুলের স্বাভাবিক কাজকর্মে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মহিদুল হক বলেন, ”বিদ্যুত্ বিলে সাশ্রয়ের সঙ্গে উত্পাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুত্ রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থা নিয়ে নেবে, এই ভরসাতেই সৌর প্যানেল লাগাতে সম্মত হয়েছিলাম। ২০২১ সালে অক্টোবর মাসে ৯৮,৭৮৮ টাকার বিল দেখে আমাদের মাথা ঘুরে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে সুরাহার আগেই ২৫ ডিসেম্বর বিদ্যুত্ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়।” স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, দু’বছর কার্যত বিদ্যুতের ব্যবহার হয়নি স্কুলে। তার পরেও পুজোর পরে, স্কুল খুলতেই ওই বিল পাঠানো হয়।
বিদ্যুত্ দফতর সূত্রে জানা যায়, স্কুলে পুজো বা গরমে টানা বড় ছুটি থাকে। তখন সৌরশক্তিতে উত্পাদিত বিদ্যুত্ সরাসরি চলে যায় বিদ্যুত্ দফতরের পাওয়ার গ্রিডে। কতটা বিদ্যুত্ স্কুল ব্যবহার করছে, আর কতটা দফতর নিচ্ছে তার হিসাব রাখার জন্য ‘ইম্পোর্ট-এক্সপোর্ট মিটার’ বা ‘নেট মিটার’ থাকে। হিসাব করে বিল মেটাতে হয়। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কতটা বিদ্যুত্ স্কুল নিয়েছে, কতটা গ্রিডে পৌঁছেছে, তার হিসাব না করেই বিল পাঠানো হয়েছে। নোটিস না দিয়েই সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে বলেও তাঁদের দাবি।
