পুরভোটের টিকিট না পেয়ে ডিভোর্স কাণ্ড দমদমে
নিউজ ডেস্ক দক্ষিণ দমদম পুরসভায় ভোটে টিকিট না পাওয়ার কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা বাধে। বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে, শেষ অবধি তা বিবাহ বিচ্ছেদের আকার নেয়। ইতিমধ্যেই আলাদা থাকা শুরু করে দিয়েছেন স্বামী এবং স্ত্রী।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে প্রথমে রীতা রায়চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু পরে সেই নাম বাতিল হয় এদিকে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১০ নং ওয়ার্ড থেকে তাঁর স্বামী স্বামী সুরজিত্ রায় চৌধুরীর প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করে শাসকদল। তৃণমূলের প্রার্থী পদের তালিকায় সুরজিত্ রায় চৌধুরীর প্রার্থী হিসেবে নাম থাকলেও দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে প্রথমে রীতা রায়চৌধুরীর নাম নেই। ওই ওয়ার্ডে টুম্পা দাসের নাম নতুন করে প্রার্থী পদ হিসেবে ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরেই কুরুক্ষেত্র শুরু। স্ত্রী রীতা রায়চৌধুরী এবং স্বামী সুরজিত্ রায় চৌধুরীর মধ্যে বিবাদ পৌঁছয় চরমে। তবে সাদামাঠা বিবাদ নয়, এতটাই প্রার্থী ইস্যু হয় যে, তা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা অবধি শেষপর্যন্ত গড়িয়েছে।
ইতিমধ্যেই উকিলকে দিয়ে স্ত্রী রীতা রায়চৌধুরীকে বিবাহ বিচ্ছেদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন স্বামী সুরজিত্ রায় চৌধুরী। স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেছেন। সুরজিত্কে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছেন রীতা রায়চৌধুরী। নির্দল হয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই জোড়া পাতার প্রতীকে মনোনয়ন জমাও দিয়েছেন তিনি। জোড়া পাতার প্রতিক ব্যানার, হোর্ডিয়ে হোর্ডিয়ে ছয়লাপ হয়েছে গোটা দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ড।
তৃণমূলের কোনও দেওয়াল লিখন এমনকি দলীয় পতাকাও চোখে পড়ছে না। এই ঘটনার পর স্বামী সুরজিত্ রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, দল প্রথমে টিকিট দেবে বলে ঘোষণা করলেও পরে টিকিট বাতিল করেছে। তারপর থেকেই পরিবারে অশান্তি শুরু। এরপর শেষে সিদ্ধান্ত নেই দল সবার আগে আমার কাছে। সেই কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছি। স্ত্রী রীতা রায়চৌধুরী আমাকে ছেড়ে বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছে।’