বিজেপি সাংসদ ও টিএমসি বিধায়কের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা
নিউজ ডেস্ক মালদা জেলা পরিষদের বাজেট সভায় তুমুল বাকবিতণ্ডা। বচসায় জড়ালেন বিজেপি সাংসদ ও তৃণমূল বিধায়ক। মালদহের নদী ভাঙন সমস্যা নিয়ে উত্তপ্ত জেলা পরিষদের বাজেট বৈঠক । আলোচনার মাঝেই মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ এবং তৃণমূল বিধায়ক নিহাররঞ্জন ঘোষের মধ্যে শুরু হয় তর্কাতর্কি।
অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়কের পক্ষ নিয়ে পাল্টা যুক্তি দিতে থাকেন তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। জেলায় ভাঙন সমস্যা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিজেপির দাবি ঘিরে । তৃণমূলের বিধায়ক বলেন, মালদহের ভাঙন নিয়ে উদাসীন বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার। বন্যা, ভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্যরা রাজ্যে এসে হেলিকপ্টারে ঘোরেন। প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু কাজ কিছুই হয় না।
বিজেপি সংসদ খগেন মুর্মু পাল্টা চিত্কার করে বলেন কেন্দ্রের কাছে ভাঙনরোধ নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও প্রস্তাবই পাঠায়নি। তৃণমূল বিধায়কও পাল্টা বলতে থাকেন, মিথ্যে বলছেন বিজেপি সংসদ। বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করা জেলা পরিষদের বাজেট বৈঠকে এসব না বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলুন। এভাবেই চলতে থাকে দু’পক্ষের বচসা এদিকে শুধু ভাঙনরোধের ইস্যু নয়, “সভাধিপতি” নির্বাচন না করে সভাধিপতি ছাড়াই বাজেট পাস করানোর সাধারণ সভা ডাকা নিয়েও সরব হন বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করা। বাজেট বৈঠকে এক্সিকিউটিভ অফিসারের না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
তৃণমূলের সদস্যরা চিত্কার জুড়ে দেন সভাধিপতি ছাড়া বাজেট হবে না পঞ্চায়েত আইনে এমন কোনও উল্লেখ নেই। সবমিলিয়ে মালদা জেলা পরিষদের বাজেট বৈঠকে দফায় দফায় শাসক ও বিরোধী কথা কাটাকাটির । বৈঠকের শেষে স্বীকার করে মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি চন্দনা সরকার বলেন, বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা অযৌক্তিক প্রসঙ্গ ও দাবি তুলেছিলেন। জেলা পরিষদ সরকারি নিয়ম মেনেই পরিচালিত হচ্ছে। তাছাড়া বাজেট বৈঠকের সভাধিপতির থাকা বাধ্যতামূলক নয়