অর্ধশত মুরগির ফার্মে তরুণদের বাজিমাত
নিউজ ডেস্ক করোনার দীর্ঘ অবসর কিংবা লকডাউনজনিত কর্মহীনতাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন ফেনীর লক্ষ্মীপুর গ্রামের অনেকেই। রাতারাতি বেড়ে চলছে মুরগির ফার্মের ব্যবসা। ছোট্ট এই গ্রামেই রয়েছে একাধিক উদ্যোক্তার প্রায় পঞ্চাশটির মতো মুরগির ফার্ম। সেখানে ৫০ থেকে ৭০ হাজার মুরগি পালন করা হচ্ছে। খামারিদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যাই বেশি।
কেউ বাড়ির পাশের খালি জায়গায়, কেউ বা কাজের ফাঁকে বাড়ির ছাদেই ছোট পরিসরে গড়ে তুলছেন। প্রবীণ উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি নতুনরাও বেশ সাগ্রহে পা বাড়াচ্ছেন এই ব্যবসার দিকে। লকডাউনের কারণে পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ঝামেলা পোহাতে হলেও তেমন মন্দা দেখা দেয়নি এই ব্যবসায়। ফলে উদ্যোক্তাদের আগ্রহেও ভাটা পড়েনি।
ফার্মের ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাজার খানেক মুরগি নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দুই বছর শেষে প্রায় সমপরিমাণ লভ্যাংশ পাওয়া যায়। আর ব্রয়লার এবং লেয়ার মুরগির জন্য আলাদা আলাদা পরিমাণ টাকা গুণতে হয়। ব্রয়লার মুরগি পালনে প্রাথমিকভাবে প্রতি হাজারে পাঁচ লাখ এবং ডিমের মুরগি মুরগি পালনে শুরুতেই ১০ লাখ টাকা গুণতে হয় ব্যবসায়ীদের। ডিম পাড়া মুরগিতে প্রথম বছরে লাভ হয় না, কিন্তু দ্বিতীয় দফায় স্বল্প পুঁজিতেই মোটা অঙ্কের লাভ হয়।
শুধু ডিম আর মুরগিই নয়, বর্তমানে এর বিষ্ঠা ও উচ্ছিষ্ট থেকে তৈরি হচ্ছে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট। পরিবার প্রতি ১,৫০০ টাকার বাড়তি উপার্জন করছেন ব্যসায়ীরা। এতে একদিকে যেমন বাড়তি পয়সা উপার্জন করা হচ্ছে, অন্য দিকে পরিবেশ থাকছে সতেজ।