আনিস কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি,সংবাদমাধ্যমকে কাঠগড়ায় তোলেন
নিউজ ডেস্ক মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ”আমি নিজেও আন্দোলন করে বড় হয়েছি। আমাকে যেন কেউ আন্দোলন না শেখায়। রাজনৈতিক কারণে অতিরিক্ত আন্দোলন করা হচ্ছে। গতকাল কলকাতার মানুষকে অত্যন্ত সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। তা রাস্তা অবরোধ করা হবে কেন? এতে বহু মানুষের বহু ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। বাংলা এই সংস্কৃতি আর সহ্য করবে না। ৩০ বছর ধরে এই সংস্কৃতি দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। আর নয়।”
এই ঘটনার জন্য কিছু সংবাদমাধ্যমকেও কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কিছু সংবাদমাধ্যম বিশৃঙ্খলাটাকে বেশি উত্সাহিত করছে টিআরপি বাড়ানোর জন্যে। সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি, ‘আইনকে আইনের কাজ করতে দিন। এখানে ব্যবসা করবেন, অথচ বিশৃঙ্খলাকে উত্সাহিত করবেন, এটা হতে পারে না। বিজেপি হলে চ্যানেল বন্ধ করে দিত। আমরা তা করি না। কিন্তু তাবলে বাংলাকে কামড়াতে আঁচড়াতে দেব না।’
তাঁর সাফ কথা, আমি এখানে সিপিএম বা বিজেপি’র স্বার্থ দেখার জন্যে আসিনি। মানুষের স্বার্থ দেখার জন্য এসেছি। কর্মসংস্থান তৈরির জন্যে এসেছি। টিআরপি বাড়ানোর জন্য যদি কেউ আগুন জ্বালাতে চান, তাহলে তা বরদাস্ত করা হবে না। আইন সকলের জন্য সমান। সকলের স্বার্থ দেখতে হবে। যাঁরা বিজ্ঞাপন দেন সেই ব্যবসায়ীদের স্বার্থও দেখতে হবে।
আনিস হত্যার প্রতিবাদে পথে নামে সিপিএম-কেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিপিএম কোনও দিন দেখাতে পারবে লক্ষণ শেঠ গ্রেফতার হয়েছেন। নাকি তাপসী মালিক হত্যার পর কেউ গ্রেফতার হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের নোবেল আজও উদ্ধার হয়নি। কেস তো সিবিআই-এর কাছে। উল্টে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয়বাহিনীর নাম করে ৪ জনকে মেরে ফেলা হয়েছে। নিজেরা ক্ষমতায় নেই বলে সিবিআই-দাবি করে রাজ্য পুলিশকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। এক লক্ষের মধ্যে ১০ জন ভুল করতে পারে। ১০ জনই শাস্তি পাবে। তার মানে ১ লক্ষই ভুল নয়। আনিসকাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। সঠিক বিচার করবে পুলিশ। নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর