রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত জেলেনস্কি
নিউজ ডেস্ক যুদ্ধের ১৩তম দিনে কিছুটা হলেও সুর নরম করলেন ইউক্রেনেরপ্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তিনি বলেছেন তিনি এমন একটি দেশের রাষ্ট্রপতি হতে চান না যে দেশটি ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য হাঁটুগেড়ে ভিক্ষা চাইবে। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইউক্রেনের জন্য তিনি রুশ আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ও মস্কো শান্ত করতে জেলেনস্কি আপাতত সম্মতি জানিয়েছেন ইউক্রেনের দুটি রুশ-পন্থী অঞ্চলে আপস করার জন্য। গচ ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর আগে দেশের এই দুটি এলাকাকে স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা করে ছিলেন পুতিন।
জেলেনস্কি আরও বলেছেন, যে ইউক্রেন বুঝতে পেরেছে ন্যাটো কিয়েভকে সদস্যপদ দিতে এখনও রাজি নয়। তিনি আরও বলেন জোট একটি বিতর্কিত জিনিস । রাশিয়াকে এখনও বিশ্বের একাধিক দেশ ভয় পায়। অন্যদিকে রাশিয়া বলেছে, সোভিয়েত ইউনিয়নের থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও ইউক্রেন যাতে ন্যাটোয় যোগ না দেয় তার জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেবে মস্কো। কিন্তু অনেক দিন ধরেই ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হওয়ার দাবি জানিয়েছিল। তাতেই বাধা দিয়ে আসছিলেন পুতিন। দীর্ঘ দুই মাস টানাপোড়ের পরই ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশায় হঠাত্ই ইউক্রেন আক্রমণের দামামা বাজিয়ে দেয়। যাতে চমকে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব।
এদিনও জেলেনস্কি জানিয়েছেন তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত। তবে তিনি যে নিরাপত্তার গ্যারান্টি চান তাও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন রাশিয়া দুটি অঞ্চল ছাড়া অন্য কোনও অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করেনি। তাই তা নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি। ওই দুটি এলাকা কীভাবে বাঁচানো যায় তার জন্য সমঝতা খুঁজতেও তিনি রাজি রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল যারা ইউক্রেনের অংশ হতে চায় তাদের ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্ত করা জরুরি।
তবে চাপ বাড়ছে রাশিয়ারও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউক্রেনের রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এভাবেই পদক্ষেপ করলেন তিনি। আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত রাশিয়াকে অর্থনৈতিক দিক থেকেই সমস্যা ফেলবে বলেও মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।