পুরবোর্ডের কাজ আর সদস্যদের জীবনযাত্রা— গোড়া থেকেই নজরদারিতে তৃণমূল
নিউজ ডেস্ক পুরবোর্ডের কাজ আর সদস্যদের জীবনযাত্রা— গোড়া থেকেই নজরদারিতে রাখবে তৃণমূল কংগ্রেস। সরকারি বরাদ্দে যে সব পয়সা কাজে লাগছে কি না তাতেও কড়া হতে চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব। সেই
রাজ্যের প্রায় সম্পূর্ণ শহরাঞ্চলের স্থানীয় প্রশাসনেই এখন তৃণমূল। প্রশাসনিক ক্ষমতায় পরিষেবা নিশ্চিত করে লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক ভাবে জমি শক্ত করার এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুরমন্ত্রী হিসেবেই পুরসভা সংক্রান্ত কাজকর্মে গোটা রাজ্যে দলের পক্ষে সমন্বয়ের দায়িত্বে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমই। তাঁর কথায়, ”প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও পরিষেবা বজায় রাখতে পারলে রাজনৈতিক সমর্থন নিশ্চিত করা যায়।”
শহরাঞ্চলে পুর পরিষেবাই সরাসরি মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে রাখে। দীর্ঘদিন সেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় কিছুটা সমস্যাতেই আছে শাসক শিবির। গোটা রাজ্যে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পেলেও পুরসভা স্তরে প্রশাসনিক আধিকারিকের ব্যবস্থা সামগ্রিক কাজে কিছু অসম্পূর্ণতাও তৈরি করেছিল। এ বার সে সবে বিশেষ গতি আনতে পুরসভা পরিচালনায় দল কেন্দ্রীয় ভাবে সমন্বয়ের কথা ভেবেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”রাজ্য সরকারের অসংখ্য প্রকল্প রয়েছে। সেগুলি রূপায়ণে স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থাগুলি কার্যকর ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে মানুষের সংযোগ করে দিতে পারলেই যথেষ্ট।”
এ বারের নির্বাচনের পুরসভার নবনির্বাচিত সদস্য সংখ্যা দেড় হাজারের কিছু বেশি। তাঁদের মধ্যে পুরনো অনেকে থাকলেও নতুন সদস্যও আছেন। প্রশাসনিক কাজকর্ম বুঝিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়াও পুরসদস্যদের জীবনযাত্রা, কাজকর্ম ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত স্বচ্ছতা রক্ষার বিষয়টিও দলের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ফিরহাদের কথায়, ”এই কমিশনার বা কাউন্সিলরেরা একেবারে নীচের স্তরে দলের প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। তাঁদের মাধ্যমেই দলের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ থাকে। ফলে স্বচ্ছতার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।” পার্থের কথায়, ”সরকারি কাজে দলের কোথাও খবরদারি করার দরকার নেই। শুধু সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছনোর ক্ষেত্রে কোথাও ব্যক্তিগত পছন্দ, স্বার্থ ইত্যাদি থাকলে দল তা বন্ধ করবে। সেই কারণেই নজরদারি প্রয়োজন।”
আগামিকাল সোমবার থেকেই বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিচ্ছে তৃণমূল। দোলের আগে তা শেষ হয়ে যাবে।