তৃণমূলে যেতে চান,ওঁর সঙ্গী হতে তৃণমূলে যোগ দিলাম
নিউজ ডেস্ক খড়্গপুর শহরের ৪ন ম্বর ওয়ার্ড থেকে ৫,২১৭ ভোটে জয়লাভ করেছেন নারগিস। হারিয়েছেন প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধানের স্ত্রী মমতাজ কুদ্দুসিকে। এরপরেই তৃণমূলে যোগ দিতে চান তৃণমূলের জেলা সভাপতির কাছে আর্জিও জানিয়েছেন নারগিস। নারগিস বলছেন, ‘এলাকায় গত কয়েক বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এলাকায় উন্নয়ন করতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মানুষের জন্য সর্বদা উন্নয়নের চেষ্টাকরেন তাই ওঁর সঙ্গী হতে তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছি। বোর্ড গঠনের আগেই যোগ দিতে চাই।’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা মানছেন, ‘নারগিস পারভিন আমাদের কাছে একটি আবেদনপত্র দিয়েছেন। বোর্ড গঠনের পরে দলের সঙ্গে আলোচনা করে ওঁকে নেওয়ার বিষয়ে ভাবা হবে।’
২০১৫ সালের পুর-নির্বাচনেও সিপিআইয়ের টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়ে উপ-পুরপ্রধান হন হানিফ। সে বার ১১টি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে বোমা-বন্দুক দিয়ে অন্য দলের কাউন্সিলর ভাঙিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এ বার অবশ্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে বেগ পেতে হয়নি শাসক দলকে। ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। এর পরেও স্বেচ্ছায় বাম কাউন্সিলরের তৃণমূলে যোগ দেবার ইচ্ছায় শোরগোল পড়েছে। হানিফের কটাক্ষ, ‘দলবদল করায় আমাকে গদ্দার বলে নির্বাচনে প্রচার করে জয়ী হয়েছেন সিপিআই প্রার্থী। এখন যিনি দলবদল করতে চাইছেন তাঁকে মানুষ কী বলবে!’ তৃণমূল নারগিসকে নিলে তিনি দুঃখ পাবেন বলেও জানান হানিফ।