রুশ সেনার হাতে ভয়াবহ পরিণতি যুবতীর
নিউজ ডেস্ক ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সমগ্র ইউক্রেন জুড়ে তাতে জীবনধারণের জন্য নুন্যতম যেই জিনিসপত্রগুলি জোগাড় করতেই রীতিমতো হিমসিম খেতে হচ্ছে ইউক্রেনের সাধারণ বাসিন্দাদের। বাড়ির ভিতর, বাইরে, হাসপাতাল, শেল্টার কোথাওই এই মুহূর্তে নিরাপদ নন ।
আর তার জেরে এই মুহূর্তে জীবনধারণ করাটাই সবথেকে কঠিন ওই দেশের মানুষদের জন্য। ডিন কয়েক আগেই সামনে এসেছিল একটি ভিডিও যেখানে এক স্থানীয় ইউক্রেন বাসিন্দার গাড়ির ওপর দিয়ে চালানো হয়েছিল রুশ ট্যাংকার। সমগ্র বিশ্বের মানুষ ওই ভিডিও দেখে রুশ বাহিনীর তীব্র নিন্দা করেছেন। এবার কিছুটা একই ঘটনা ঘটল ইউক্রেনের কিয়েভের একটি ছোট গ্রামের জানা যাচ্ছে, মায়ের জন্য ওষুধ খুঁজতে বের হয়েছিলেন ভ্যালেরিয়া মাকসেটস্কা। কিন্তু তাঁকে রুশ সেনা আধিকারিকরা পয়েন্ট ব্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করেছে ।
কিয়েভের বাসিন্দা ৩১ বছ বয়সী ভ্যালিরিয়া মায়ের সঙ্গে একা থাকতেন রাজধানী কিয়েভের একটি গ্রামে। তাঁর মা খুবই অসুস্থ, সেই কারণেই রুশ সংঘাতে যখন যুদ্ধক্ষেত্রের রুপ নিয়েছে গোটা ইউক্রেন তখনও তিনি মাকে সঙ্গে নিয়ে দেশের মধ্যেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নিজের মায়ের খেয়াল রাখার পাশাপাশি ভ্যালিরিয়া প্রতিবেশী এবং ইউক্রেনীয় সেনাদেরও খেয়াল রাখতেন এবং তাঁদের সাহায্য করতেন।
কিন্তু সম্প্রতি তাঁর মায়ের ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ার তিনি গাড়ি নিয়ে যখন দেশের পশ্চিম সীমান্তের দিকে জাচ্ছিলে তখন তাঁর গাড়ির ওপর হামলা চালায় রুশ সেনা এবং তাঁদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবতীর। তিনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য কাজ করা একটি মার্কিন সংস্থায় কর্মরত ছিলে বলে জানা যায় রুশ সেনারা প্রথমে ভ্যালিরিয়ার গাড়িটি আটকান এবং তাঁর বাইরে বেরনোর কারণ জিজ্ঞাসা করেন। আধিকারিকরা একাংশ তাঁকে যাওয়ার অনুমতিও দেন। কিন্তু তারপরেই কয়েকজন সেনা তাঁর ওপর হামলা চালান।