মরার সময় মকরধ্বজ।”সিপিএমের অন্তর্জলী যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে, কটাক্ষ সুকান্তর
নিউজ ডেস্ক মরার সময় মকরধ্বজ।” সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে এই ভাষাতেই টিপ্পনী কাটলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার গতকাল রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, বিজেপি আর তৃণমূলকে শান্তিতে ঘুমোতে দেবেন না।
সেই মন্তব্যর জেরে মহম্মদ সেলিমকে এই ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি আরও বলেন, “এই দলের সিপিএমের অন্তর্জলী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। তাই কে এলেন, আর কে গেলেন, সেটা ভেবে কোনো লাভ নেই।” একইসঙ্গে পুরভোটে সিপিএমের ভোট বৃষ্টি প্রসঙ্গে বলেন, “এবার ভোটে তৃণমূল সিপিএমকে সহযোগিতা করেছে। তাই ভোট বেড়েছে। আসছে লোকসভা নির্বাচনে ভোট সব হাওয়া হয়ে যাবে।”
জলপাইগুড়ির জামাই বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর তাঁর শ্বশুর বাড়ি এলাকায় সম্প্রতি বেড়ে গিয়েছে চুরি, ছিনতাই,কেপমারি ইত্যাদি। চুরি হয়েছে কিষাণ রেলের যন্ত্রাংশও। আর এইসব নিয়ে জলপাইগুড়ি সাংসদ সুপারের সঙ্গে দেখাও করতে চান। কিন্তু পুলিশ সুপার সময় না দিয়ে সাংসদকে চিঠি পাঠাতে বলেছেন। পুলিশ সুপারের এমন আচরনে বেজায় চটে রাজ্য সভাপতির কাছে নালিশ জানান সাংসদ। পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে নালিশ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কী কারণে পুলিশ সুপার ব্যস্ত তা কে জানে! তবে আমরা বলছি পুলিশ প্রশাসন যদি ছিনতাই আটকাতে না পারে তবে বলুক, পুলিশের দায়িত্ব বিজেপি কর্মীরা নেবে। গুন্ডা বদমায়েশদের শায়েস্তা করে দেবে। ”
দোল উপলক্ষে জলপাইগুড়িতে এসেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার,ময়নাগুড়ি প্রভৃতি ব্লকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বসন্ত উত্সব পালনের পর তিনি চলে আসেন জলপাইগুড়িতে। এখানেও তিনি জেলা কার্যালয়ে গিয়ে জেলা সভাপতি ও সাংসদ সহ অন্যান্য নেতা কর্মীদের সঙ্গে দোল খেলার পাশাপাশি লাড্ডু খাইয়ে মিষ্টিমুখ করান।