সাংসদের উপর হামলায় চরমসীমা বেধে দিল বিজেপি শ্রমিক সংগঠন
নিউজ ডেস্ক শনিবার রাতে কল্যাণীতে দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমা দেখে ফেরার পথে আক্রান্ত হয়েছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। গাড়ির পিছন দিকের কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এরই প্রতিবাদে কলকাতায় আজ বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। এমজি রোড অবরোধ করার কর্মসূচি ছিল বিজেপির শ্রমিক নেতাদের। কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। পুলিশ অবরোধে বাধা দিলে, প্রশাসনকে দুই দিন সময়সীমা বেধে দিল বিজেপির শ্রমিক সংগঠন। দুই দিনের মধ্যে সাংসদের উপর হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেই সময় তাঁর সঙ্গে কোনো নিরাপত্তারক্ষী ছিল না বলে জানা গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীরা না থাকায়, সেই সময় বিজেপি সাংসদের গাড়িতে বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী ছিলেন। সাংসদের অভিযোগ, হরিণঘাটা ৭ নম্বর শিমুলতলা এলাকায় তাঁর গাড়িতে হামলা হয়। সাংসদ নিজে অবশ্য অক্ষত ছিলেন। তাঁর দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যেও কেউ কোনো চোট পাননি। তবে বোমাটি যদি গাড়ির কাঁচ ভেদ করে গাড়ির ভিতরে ঢুকে আসত, তাহলে বড়সড় অঘটন ঘটতে পারত বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইতিমধ্যে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলে আর কিছু নেই। পুরোটাই মদের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছেন,” আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। তাঁরও বক্তব্য, “রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে, হিংসা চালাচ্ছে। রাজ্যে কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদদেরই যখন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ প্রশাসন, তখন মানুষ রাজ্য প্রশাসনের উপর আস্থা রাখবে কীভাবে”।