পাহাড় হাসলে আমার ভাল লাগে, মমতা
নিউজ ডেস্ক একটি সময় দার্জিলিং মানেই অশান্তি, আগুন, জঙ্গি আন্দোলন, খুনোখুনি, পাহাড় মানেই লাগাতার বনধ। বাম জমানায় দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিনদশক পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে কখনো সুভাষ ঘিশিং ,বিমল গুরুংদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়েছিল পাহার
এরপর ২০১১ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পাহাড় অনেকটাই শান্ত। পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। পর্যটক যাচ্ছে। সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ হল, দার্জিলিং পৌরসভা নির্বাচন। যেখানে কোনরকম অশান্তি ছাড়াই ভোট সম্পন্ন হয়েছে এবং নবাগত হামরো পার্টি দার্জিলিং পুরবোর্ড দখল করেছে। এবং দার্জিলিংয়ের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমস্তরকম সাহায্যের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ফের একবার দার্জিলিং সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ, মঙ্গলবার ম্যালে সরকারি প্রকল্প প্রদান অনুষ্ঠান থেকে তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন করে আবেদনের ভিত্তিতে বিধবা ভাতা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কন্যাশ্রীর মতো সামাজিক প্রকল্পগুলি যেমন প্রদান করেছেন। বিলি করলেন পাট্টাও।
তিনি বলেন, “পাহাড় হাসলে আমার ভাল লাগে। আপনারা কথা দিন, আগামী ১০ বছর পাহাড়ে কোনও ঝগড়া হবে না, শুধু মানুষের জন্য কাজ করবেন। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। মানুষের উন্নয়নের জন্য আপনারা মন দিয়ে পাহাড়ের জন্য কাজ করুন, দেখবেন পাহাড়ের চেহারাটাই বদলে যাবে।”গতকাল পাহাড়ের চারটি দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সবমিলিয়ে পাহাড় এখন মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের বার্তায় একজোট।