এবছরের পরীক্ষায় টোকাটুকি রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সংসদ
নিউজ ডেস্ক এ টুবছরের পরীক্ষায় টোকাটুকি রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সংসদ। যে সকল স্কুলে এই ধরণের ঘটনা ঘটবে, সেই স্কুলের অনুমোদন বাতিল করা হবে।
করোনার জন্য এ বছর হোম সেন্টারেই পরীক্ষা হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেলাকে স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংসদ। তার মধ্যে রয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা বেশ কিছু জেলা। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন করে কাউন্সিল নমিনি থাকবেন। সংসদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হবে একজন স্পেশাল পরীক্ষক। কাউন্সিল নমিনি, ভ্যেনু সুপারভাইজার, সেন্টার ইনচার্জ, সেন্টার সেক্রেটারি ও স্পেশাল অবজারভার ছাড়া কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না
প্রতিটি ঘরে দুই জন করে শিক্ষক-শিক্ষিকা পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত নজরদারি চালাবেন। এক্ষেত্রে একটি বিষয় বিশেষ করে বলা হয়েছে সংসদের । হল, যে দিন যে বিষয়ের পরীক্ষা সেইদিন সেই পরীক্ষার দায়িত্বে ওই শিক্ষক শিক্ষিকা থাকবে না। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে কোনো রকম গড়মিলের খবর পাওয়া গেলে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলের অনুমোদন বাতিল করেও দিতে পারে রাজ্য। এমনটাও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন তাই সংসদের তরফ থেকে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু হয়েছে। ০৩৩২৩৩৭০৭৯২ কাউন্সিলের হেল্পডেস্ক নম্বর। এবছর উচ্চমাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লাখ ৪৫ হাজার। এবছর হোম সেন্টারেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। শনিবার, ২রা এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে আগামী ২৭শে এপ্রিল পর্যন্ত। এবছর উচ্চমাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লাখ ৪৫ হাজার। এবছর মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৯৯৮।