মাধ্যমিক ইতিহাসে পাশ করানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় শিক্ষকরা
নিউজ ডেস্ক বিগত ২ বছর করোনা কাটিয়ে অবশেষে এবছর ৭ই মার্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হয়েছে ১৬ই মার্চ। প্রায় ১২ লক্ষ পরীক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দিয়েছে। তবে, নির্বিঘ্নে পরীক্ষা শেষ হলেও সূত্রের খবর, ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্ন প্রচুর পরিমানে কঠিন এসেছে। ১১ই মার্চ ছিল ইতিহাস পরীক্ষা। বুকে বল নিয়ে, সাহসের সাথে পরীক্ষা দিতে গেলেও শেষরক্ষা কি তবে হল না মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের? বলা যায়, ইতিহাস পরীক্ষার দিন ইতিহাস তৈরি হয়েছে।
শিক্ষাবিদদের একাংশের দাবি, অন্য বছরের তুলনায় প্রায় অনেকটাই কঠিন হয়েছে প্রশ্নপত্র। Ray & Martin -এর ফেসবুক পেজে এবছরের মাধ্যমিকে ইতিহাস পরীক্ষা বাতিল করার জন্য পোস্টও করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের আক্ষেপ, গত বছর তো এমনিতেই সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবছর এত কঠিন প্রশ্ন না দিলেও পারত।
সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখার জন্য সমস্ত খাতাগুলি ভাগ করে দেওয়া হয় পরীক্ষকদের। সেই নিয়মে এবছরও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের খাতা পরীক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। একজন ইতিহাস শিক্ষক খাতা চেক করার প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘একজন পরীক্ষার্থী প্রশ্নের সঠিক উত্তর না লিখে প্রশ্নপত্রে লেখা সম্ভাব্য সব উত্তরগুলি খাতায় লিখে রেখেছে। যেটা পড়েই বোঝা যাচ্ছে। তবে শুধুমাত্র ইতিহাস নয় প্রায় সব বিষয়েই পরীক্ষার খাতায় নম্বর বসানোর প্রসঙ্গে পরীক্ষকদের একই মত জানা গেছে।’
পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী, কাউকেই শূন্য দেওয়া যাবে না। অন্তত ১ বা ২ নম্বর দিতে হবে। তবে প্রশ্নই যদি এত কঠিন হয়, সিলেবাসের বাইরে গিয়ে প্রশ্ন দেওয়া হয়। তাতে পরীক্ষার্থীরা উত্তর দিতে চিন্তায় পড়েন। তাহলে খাতায় শূন্য এর বদলে ১ বা ২ নম্বর দেওয়া হলেও,পরীক্ষার্থীর পাশ নম্বরটা তো আসছে না। আর খাতায় কিছু না লিখলে পাশ করাবেন কিভাবে সেই চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষকদের একাংশ।