শিক্ষকের মদতেই দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে
নিউজ ডেস্ক স্কুল পরিচালনার পুরো দায়িত্ব থাকে প্রধান শিক্ষকের হাতে, এই কথা আর কে না জানেন। স্কুলের অভিভাবক হিসেবে নিয়মানুবর্তিতা, পড়াশুনোর মানোন্নয়ন, পড়ুয়া ও শিক্ষকদের অভাব অভিযোগ রক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব প্রধান শিক্ষককেরই। শিক্ষকই যদি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের মতো মারাত্মক কাজ করেন, তবে সেই স্কুলের পড়ুয়াদের ভবিষ্যত মুখ থুবড়ে পড়বে এটাই স্বাভাবিক।
বাস্তবে এই ঘটনাই ঘটেছে। একটি বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। উত্তর প্রদেশে ঘটেছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মদতেই দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেছে।
এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ফাঁসের ঘটনায় সব মিলিয়ে মোট ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাসরা ডেপুটি পুলিশ সুপার শিবনারায়ণ বৈশ্য বলেন, “ওই বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অক্ষয় লাল যাদবকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
প্রশ্ন ফাঁসের কারণে ২৪ টি জেলার পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষা বাতিলের পর আগামী ১৩ এপ্রিল আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বালিয়ার একটি বেসরকারি কলেজের ম্যানেজারের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। প্রশ্ন পত্রের প্রতি কপি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছিল। বিভিন্ন ম্যাসেজিং অ্যাপে প্রশ্নপত্র সহ প্রশ্নের উত্তর ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনা সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।