ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল জয়েন্ট এন্ট্রাস
নিউজ ডেস্ক দেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল জয়েন্ট এন্ট্রাস । নামীদামি সরকারি বা বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের জন্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। পরীক্ষায় প্রত্যাশা মতো ফল করার জন্য পড়াশোনায় গভীর মনোযোগ দিতে হবে।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে কী করা উচিত আর কী উচিত নয়
যা করতে হবে
নতুন করে বলার নয়, উত্তীর্ণ হতে গেলে কঠোর প্রস্তুতির প্রয়োজন।
প্রথম বার পরীক্ষা দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ভরতি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে ধারাবাহিক প্রস্তুতির প্রয়োজন। এই বিভাগে মূলত দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের সংখ্যাই বেশি। ফলে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কৌশল অনুসরণ করতে হবে।
আগের জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ধরে অনুশীলন করতে হবে। আবার মক টেস্টে গুলিতেও অংশ নেওয়া যেতে পারে।
কোথায় শক্তিশালী আর কোন জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো খুঁজে বার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে দুর্বল বিষয়গুলো আবার ঝালিয়ে নিতে হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে প্রত্যেকেরই উচিত নিজেকে শান্ত রাখা। অর্থাত্, স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই পরীক্ষা দিতে হবে। বাড়তি চাপ নিতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ধীরস্থির থাকতে হবে। কারণ, উদ্বেগ কখনোই কোনো ভাবে সাহায্য করে না। উলটে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর চাপ ফেলতে পারে।
যা এড়িয়ে চলতে হবে
এক সঙ্গে দু’-তিনটে বিষয় না পড়াই ভালো। একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময় বের করে নিন। একটা শেষ করে অন্যটা ধরুন।
মক টেস্টের ফল খারাপ হলে মোটেই ঘাবড়াবেন না। বরং ভুলগুলো চিহ্নিত করে অনুশীলনে মনোযোগ দিন। প্রতিটা পরীক্ষার আগে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে প্রচুর অনুশীলনের দরকার। সেটা যে কোনো উপায়ে হোক না কেন।
পরীক্ষার তারিখ এগিয়ে আসার সঙ্গে কোনো ভাবেই আতংকিত হওয়া উচিত নয়।
অনুমানের উপর নির্ভর করে উত্তর দেবেন না। এতে পয়েন্ট হারানোর সম্ভাবনা। ফলে কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি একেবারেই অনিশ্চিত ঠেকে, তা এড়িয়ে চলুন।
কোনো প্রশ্ন যদি বুঝতে অসুবিধা হয়, সেটার জন্যে অত্যধিক সময় খরচ করবেন না। সেটাকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যান। অন্য প্রশ্নগুলোর উত্তর সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ফের এক বার ওই না বোঝা প্রশ্নে ফিরে আসুন।