সিবিএসই প্রশ্নপত্রে নারী বিদ্বেষ মুখ খুললেন সনিয়া গান্ধী
নিউজ ডেস্ক সিবিএসই দশম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে এবার বিতর্ক বাড়ল। সোমবার সংসদে বিষয়টি তুলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি। দাবি জানিয়েছেন, প্রশ্ন প্রত্যাহারের পাশাপাশি ক্ষমা চাইতে হবে সিবিএসই ও শিক্ষা মন্ত্রককে।
এবার দশম শ্রেণির প্রশ্নপত্রে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে। লোকসভায় জিরো আওয়ারে রায়বরেলির সাংসদ সনিয়া গান্ধি সিবিএসই দশম শ্রেণির প্রশ্নের একটি অনুচ্ছেদ নিয়ে সরব হন। এই ইস্যুতে ওয়াক আউটও করে কংগ্রেস, আইইউএমএল, এনসিপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স। বিতর্কের প্রেক্ষিতে সিবিএসই বোর্ড প্রশ্নপত্রের ওই অংশ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। জানিয়ে দেয় প্রত্যেক পড়ুয়াকে ওই প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ পূর্ণমানের পুরোটাই দেওয়া হবে।
যে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, ইংরেজি প্রশ্নের সেই অনুচ্ছেদে কী লেখা ছিল? বিতর্কিত অংশে বলা হয়েছে, “সন্তানের উপরে অধিকারের বিষয়টি নির্ভর করে স্বামীর উপরে। এর মধ্যে দিয়ে মহিলাদের শৃঙ্খলমুক্তি ঘটে। সন্তানের উপরে মায়ের অধিকার কতটা সেটা নির্ধারণ করার অধিকার একমাত্র স্বামীর।” নারীদের অতিরিক্ত স্বাধীনতার ফলেই সামাজিক সমস্যা বাড়ছে। স্ত্রীরা স্বামীর আনুগত্য মানছেন না। ফলে শৃঙ্খলাপরায়ণ হচ্ছে না সন্তানরাও। যা সামাজিক জীবনে অভিঘাত তৈরি করছে। দশম শ্রেণির প্রশ্ন ছিল, স্বাধীনতার কারণেই কি সামাজিক সমস্যাগুলি জটিল আকার ধারণ করছে? সিবিএসই-র এই প্রশ্ন ও অনুচ্ছেদ দেওয়ার পরই দেশে বিতর্কের ঝড় ওঠে।
এদিন কংগ্রেস নেত্রী এ দিন সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, মহিলাদের উপর এই অসম্মান কীভাবে সিবিএসই-র মতো বোর্ড রাখতে পারে? অবিলম্বে এই প্রশ্ন প্রত্যাহার করতে হবে। পরবর্তীতে এই ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে সিবিএসই ও শিক্ষা মন্ত্রককে।
সংসদে সনিয়া সিবিএসই-প্রশ্ন নিয়ে সরব হতেই অবশ্য এ দিন নড়েচড়ে বসে বোর্ড। এক সার্কুলার জারি করে জানানো হয়, দশম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষার এক সেট প্রশ্নপত্র বোর্ডের গাইডলাইন মেনে হয়নি, তাই প্রশ্নটি বাতিল করা হয়েছে। এবং পরীক্ষার্থীদের ফুল মার্কস দেওয়া হবে।