দাদা’ উডবার্নে, ‘ভাইয়েরা’ গুড় বাতাসা, নকুলদানা নিয়ে ভোট ময়দানে
‘
নিউজ ডেস্ক ‘দাদা’ অসুস্থ তাই ভাইয়েরা নকুলদানা নিয়ে এসেছে। গরুপাচারকাণ্ডে সিবিআই ডাকার পরপরই শ্বাসের কষ্ট, শরীরে অস্বস্তি, আরও কিছু উপসর্গ নিয়ে এসএসকেএমের উডবার্নে গিয়ে ভর্তি হন অনুব্রত মণ্ডল। এদিকে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে অনুব্রতকে নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনুব্রত থাকতে না পারলেও তাঁর অনুগামীরা সকাল থেকেই রাস্তায়। হাতে গুড় বাতাসা, নকুলদানার থালা। সঙ্গে জলের বোতল। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের জামুড়িয়া অবিনাশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রের বাইরে দেখা গেল তাঁদের।
স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জানায়, “কেষ্টদা দায়িত্বে ছিলেন। বীরভূমে একটা প্রচলন রয়েছে মানুষকে নকুলদানা, গুড় বাতাসা দিয়ে সেবা করার। সেটা আমরা করছি। মানুষ এই গরমে ভোট দিতে আসছেন। সেই কারণে আমরা জলের বোতল রেখেছি। সঙ্গে গুড়ের বাতাসা রেখেছি। দাদা হাসপাতালে ভর্তি ঠিকই। তবে দাদা যা কাজ করেন, সেটা আমরা করব। দাদা আমাদের এখানে পর্যবেক্ষক। এটুকু তো করবই।”
উল্লেখ্য, শুধু গুড় বাতাসা নয়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরবত বিলি করার অভিযোগও উঠেছে। তা জামুড়িয়ায়। জামুড়িয়ার মডার্ন সাতগ্রাম কমিউনিটি হলের বাইরে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ ওঠে এদিন। একইসঙ্গে অভিযোগ, তৃণমূলের অস্থায়ী ক্যাম্প ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয়বাহিনী। জামুড়িয়া বিধানসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের মডার্ন সাতগ্রাম কমিউনিটি হলে ১৫৫ ও ১৫৬ বুথের বাইরে ভোটারদেরকে সরবত খাইয়ে প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি সমর্থকরা প্রতিবাদ করতে গেলে তৃণমূলের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পৌঁছয় কেন্দ্রীয়বাহিনী। এরপরই বাহিনী শাসকদলের অস্থায়ী ক্যাম্প ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।