কেন সিবিআই তদন্তেই আস্থা? এবার ব্যাখ্যা করলেন দিলীপ
নিউজ ডেস্ক সম্প্রতি হাঁসখালিতে ১৪ বছরের কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালতের সেই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাধারণ মানুষ যাতে তদন্তে আস্থা রাখে, তার জন্যই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন। রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শুধুমাত্র হাঁসখালি নয়, রাজ্যে পরপর একাধিক ঘটনায় আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেই প্রসঙ্গেই বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, রাজ্য সরকারের ওপর মানুষের আস্থা নেই বলেই আদালত এই নির্দেশ দিচ্ছে। হাঁসখালির আগে বগটুই-কাণ্ডে ও ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতির মামলাতেও চলছে সিবিআই তদন্ত।
এদিন সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “হাঁসখালি-কাণ্ডে আবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের ওপর কারও সামান্যতম আস্থা নেই।” তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের লোকেরা ও তৃণমূল দলের লোকেরাই এই ধরনের খারাপ কাজ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে জঘন্য ঘটনা গুলোকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে উনি চান না দোষীরা শাস্তি পাক।”
হাঁসখালির ঘটনার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা যে মন্তব্য করেছেন, আগেই তার সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, এই ঘটনাকে ধর্ষণ বলা যায়, নাকি কিশোরী গর্ভবতী ছিল? নাকি প্রেমঘটিত কারণ রয়েছে?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হাঁসখালিতে এক ১৪ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার রাতেই মৃত্যু হয় কিশোরীর। আর তারপর কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দাহ করে দেওয়া হয় দেহ। এই ঘটনায় যাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।