ফের রক্তাক্ত হলো ভূস্বর্গ, জঙ্গি হানায় প্রাণ গেল ১ জনের
নিউজ ডেস্ক জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী বেড়েই চলেছে। এবার জঙ্গি হানায় মৃত্যু হল রেলওয়ে প্রটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ জওয়ানের। আহত আরও এক। সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের কাকাপুরা রেল স্টেশনে এই ঘটনা ঘটেছে। সূত্রের খবর, এদিন কাকাপুরা রেল স্টেশনে এক চায়ের দোকানের কাছে আরপিএফের হেড কনস্টেবল সুরিন্দর সিং ও অ্যাসিট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর দেবরাজকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক জঙ্গি। তখনই গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সুরিন্দরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এদিকে হামালার আততায়ীর খোঁজে গোটা এলাকায় খান্না তাল্লাশি শুরু করে সেনা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এলাকা ছেড়ে পালাতে সক্ষম হয় ওই জঙ্গি।
প্রসঙ্গত আগামী ২৪ এপ্রিল কাশ্মীর সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। পঞ্চায়েত রাজ দিবস উপলক্ষে হাজার হাজার পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে জম্মুর কাছে একটি বড় সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। কিন্তু তার আগেই লাগাতার জঙ্গি আক্রমণের জেরে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। গত তিন সপ্তাহে উপত্যকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর উপর লাগাতার হামালা চালিয়ে চলেছে জঙ্গিরা। চলতি মাসেই এটি নবম হামলা বলে জানা যাচ্ছে। স্বভাবতই তা নিয়ে উৎকণ্ঠার বাতাবরণ রয়েছে উপত্যকার প্রশাসনিক মহলেও। অন্যদিকে যাঁরা কাজের খোঁজে কাশ্মীরে এসেছেন তাদেরকেও বেছে বেছে টার্গেট করছে জঙ্গিরা। পাশাপাশি রেহাই পাচ্ছেন না কাশ্মীরি পণ্ডিতেরাও। আক্রমণ করা হচ্ছে পঞ্চায়েত সদস্যদের উপরেও। গত মাস থেকে এখনও পর্যন্ত চার জন পঞ্চায়েত সদস্য সন্ত্রাসী হানায় নিহত হয়েছেন।
গত বুধবারই কুলগাম জেলায় এক পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। ওই পরিযায়ী শ্রমিক পেশায় ড্রাইভারের কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। গুলি লাগার পর সতীশ কুমার সিং নামে ওই চালককে নিকটবর্তী হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে এর আগে গত অক্টোবরে জঙ্গি হানায় মাত্র ৫ দিনে ৭ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয় কাশ্মীরে। তাদের মধ্যে এক কাশ্মীরি পণ্ডিত, একজন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ ও দুজন স্থানীয় হিন্দু ছিলেন বলে জানা যায়। এবার যেন মোদী আগমনের আগে সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে গোটা উপত্যকায়।