নদিয়ার ধর্ষণ-মৃত্যু কাণ্ডে কারা মৃতার পরিবারকে হুমকি দিয়েছিল
নিউজ ডেস্ক কারা মৃতার পরিবারকে হুমকি দিয়েছিল, তা জানতে আবার গ্রামে সিবিআই। সেই সঙ্গে তারা এও বুঝেতে চাইছে মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য সত্যিই কোনও জোর করা হয়েছিল কি না।
মঙ্গলবার দুপুরে সিবিআইয়ের চার জনের একটি দল মৃতার গ্রামে যায়। দলের দু’জন যান শ্মশানে, যেখানে কোনও ডাক্তারের দেওয়া ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়াই মৃতদেহটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
শ্মশানে থাকেন এক প্রৌঢ়া। মেয়েটির মৃতদেহ যখন শ্মশানে নিয়ে আসা হয়, তিনি সেখানে ছিলেন এবং সত্কার করতে এসেছে সেটা তিনি দেখেছেন।
এ দিনও সিবিআই অফিসারেরা শ্মশানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। মৃতদেহ নিয়ে আসা থেকে সত্কার পর্যন্ত নানা খুঁটিনাটি বিষয় তাঁর কাছে জানতে চায়। মৃতার মা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন, তাঁর ‘স্বামীর উপস্থিতিতে’ সত্কার করা হয়। সে ক্ষেত্রে প্রমাণ লোপাটের মামলায় তাঁর নামও জড়াতে পারে ইতিমধ্যে মৃতার বাবা ও জেঠতুতো দাদাকে এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছএ সিবিআই।
সিবিআইয়ের আর একটি দল এ দিন যান এফআইআর-এ নাম থাকা প্রতিবেশী পরিমল বিশ্বাসের বাড়ি। মৃতার মায়ের দায়ের করা অভিযোগে রয়েছে, পরিমল বিশ্বাস ও অংশুমান বাগচী-সহ কিছু লোকজন তাঁর মেয়ের মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যায় সত্ কার করতে। এ দিন সিবিআই অফিসারেরা যখন যান, সেই সময়ে বাড়িতে ছিলেন না দিনমজুর পরিমল। তিনি মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন । তাঁর স্ত্রীও বাড়িতে ছিলেন না। পরিবার সূত্রের খবর, পরিমলের এক ভাইয়ের স্ত্রী তারা বিশ্বাস এবং এক ভাইপো সাধন বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অফিসারেরা।