জাঙ্ক ফুড নিয়ে এবার কড়া হুশিয়ারি
নিউজ ডেস্ক সম্প্রতি জানা যাচ্ছে যে, জাঙ্ক ফুড এর উপর এবার থেকে কড়া নজর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দের। কেন এমন টা করা হলো?? আসুন দেখে নি যদি খাবার এর প্যাকেট এর সামনে প্যাক অফ লেবেলিং এর যদি পুষ্টির উল্লেখ থাকে তাহলে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজে দেয়।
কিন্তু যদি না থাকে তাহলে যারা কিনছেন তারা সতর্ক হতে পারেন না।
সরকার থেকে উচিত জাঙ্ক ফুডের প্যাকেটে সতর্কতার লেবেল এঁটে দেওয়া।
জাঙ্ক ফুডের প্যাকেটে স্বাস্থ্যের জন্য স্টার রেটিং দেওয়া কখনই উচিত্ নয় বলেছে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারাঁ বলেছেন, জাঙ্ক ফুডের প্যাকেটে স্টার রেটিং দেওযার অর্থ মানুষকে বিভ্রান্ত করা। হেলথ স্টার রেটিং হল একটি লেবেলিং সিস্টেম যা প্যাকেট করা খাবারকে এক থেকে পাঁচ তারার মাপকাঠিতে মাপা হয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, সরকার যদি এখন থেকেই স্থূলতা, অসংক্রামক রোগের মহামারি সম্পর্কে সচেতন হতে পারে তাহলে গ্রাহকদের কে এখন থেকেই সতর্ক করা জরুরি। রাজস্থানে আয়োজিত ন্যাশানাল কনক্লেভ সাসটেইনেবেল ফুড সিস্টেমে উপস্থিত স্বাস্থ্য বিষেষজ্ঞরা জানিয়েছেন জাঙ্ক ফুডের প্যাকেটে হেলথ স্টার রেটিং ক্রেতাদের বিভ্রান্ত করে। কোনও উপকার করে না বলেও জানান।
একদল বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া জাঙ্ক ফুডকে মহিমান্বিত করে লাইসেন্স দেয়। কিন্তু সংস্থার যা করা উচিত্ সেটা ওনারা করেন না। তার সম্পূর্ণ বিপরীত কাজ করেন। তিনি আরও বলেন, জাঙ্ক ফুড কখনই স্বাস্থ্যকর হতে পারে না। স্থুলতা বৃদ্ধি ছাড়াও হার্টের অসুক- বিসুখ সহ একাধিখ রোগ দেখা যায়।
প্রায় অনেক বছর আগে ২০১৩ সালে এফএসএসএআইর নেতৃত্বাধীন কমিটি প্যাকেটজাত খাবারের ওপর ফ্রন্ট অব প্যাক লেবেলিং-এর সুপারিশ করেছিল। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। ২০১৮ সালে সিএসই দাবি করেন যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্যাকেটজাত খাবারের ওপর অস্বাস্থ্যকর মাত্রাগুলি লিখে দিতে হবে। কিন্তু ২০১৯ সালে সংস্থাগুলির চাপে তাও কার্যকর করা হয়নি। সংস্থাগুলি রাজি না হওয়ায় তা বাতিল হয়। ২০২১ সালে খাবারের প্যাকেটে লেবেলিং নকশার মাধ্যমে থ্রেশহোল্ড ও প্রদর্শিত পুষ্টিরবিষয়গুলি লেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে স্বাস্থ্যের রেটিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল খাবারের সংস্থাগুলি।
তবে শুধুমাত্র এই পন্থায় যে গ্রাহকদের কে সচেতন করতে পারে বলে ওনারা মনে করছেন না। এটার জন্য চাই আরো বড় বড় পদক্ষেপ।
তবে সম্প্রতি ইসরায়েল এই পথ অনুসরণ করছে আর তাতে অনেক লাভ ই পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই পথ সব দেশ কেই অনুসরণ করা উচিত।
জাঙ্ক ফুড খাওয়া যে শরীর এর জন্য ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর আর খারাপ সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। যাতে মানুষজন এখন থেকেই সাবধান হয়ে যেতে পারে।
এই এক পথ অনুসরণ করছে আমেরিকা এবং কানাডা ও। এই জাঙ্ক ফুড নিয়ে মানুষের মধ্যে সতর্ক বার্তা দেওয়া দরকার বলেই মনে করা হচ্ছে।