ভোটকুশলীর মাথায় এ কোন সমীকরণ?
নিউজ ডেস্ক সম্প্রতি জাতীয় রাজনীতিতে বহুল আলোচ্য বিষয় হল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর কি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের নজর এখন সেইদিকেই। নজরে রয়েছে কংগ্রেসের সভানেত্রীর সঙ্গে পিকে-র আবার কোনও বৈঠক হল কিনা। এই আবহে পিকে-র তেলঙ্গানা সফর নিয়ে জল্পনা দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। পিকে-র কংগ্রেসে যোগদান ঘিরে এমনিতেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। সেই উত্তেজনা এবার নাটকীয় মোড় নিল। যদি প্রশান্ত কিশোর আজ বাদে কাল কংগ্রেসেই যোগ দেন তাহলে কংগ্রেসের বিরোধী দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (TRS)-র প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে দেখা করলেন কেন হঠাৎ! তাহলে কি ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন কোনও সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে?
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পিকে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে সূত্র মারফত খবর মিলেছে। এর মধ্যে প্রশান্ত কিশোর শুধুমাত্র তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও এর সঙ্গে দেখাই করেননি তাঁর সরকারি বাসভবনে রাতও কাটিয়েছেন। শনিবার সকালেই হায়দরাবাদ পৌঁছোন পিকে। এবং সারারাত মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘প্রগতি ভবনে’ ছিলেন তিনি। আর রবিবার সেখানেই পিকে ও কেসি রাও-এর মধ্যে বৈঠক চলছে বলে সূত্রের খবর। ভোটকুশলী হিসেবে প্রশান্তের দক্ষতা এর আগেও দেখেছেন বিভিন্ন রাজ্য তথা দেশ। সেই সুনামের উপর ভরসা করেই পিকের সঙ্গে সম্ভবত চুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেসিআর। সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেসিআর ঘোষণা করেছেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কেসিআর কে সাহায্য করবে পিকে। এমনকি ২০২৪ সালেও ভোটকুশলীর প্ল্যান মাফিক লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
কংগ্রেসে যোগদানের মুখে কেসিআর-র সঙ্গে পিকে-র সাক্ষাৎ নিয়ে হইচই কেন পড়ল রাজনৈতিক মহলে! তেলঙ্গানায় বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল টিআরএস। কংগ্রেস সেখানে প্রধান বিরোধী দল। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে এই দক্ষিণী রাজ্যে। তেলঙ্গানা কংগ্রেস প্রধান রেভান্থ রেড্ডিকে কেসিআর ও তাঁর ছেলে কেটি রামা রাওয়ের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। এই আবহে কংগ্রেস ও টিআরেএস এই দুই দলকে একসঙ্গে কীভাবে সামলাবে পিকে! কিছুদিনের মধ্যেই কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা পিকে-র। কংগ্রেস নেতা হয়ে তেলঙ্গানায় কংগ্রেস বিরোধী দলের হয়ে নির্বাচনী প্রেসক্রিপশন লিখবে পিকে ও তাঁর সংস্থা আইপ্যাক! যেটা একেবারেই অসম্ভব বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। নাকি পরিস্থিতি সামাল দিতে আইপ্যাক থেকে ‘মিছিমিছি’ দূরত্ব তৈরি করবেন পিকে! অর্থাৎ, তিনি থাকবেন কংগ্রেসের নেতা হয়ে। আইপ্যাক একটি ভিন্ন সংস্থা হয়ে পিকের নাম না করেই তেলঙ্গানার রাজনৈতিক সমীকরণ লিখবে তথাকথিত পিকে-র সংস্থা আইপ্যাক!