ট্রেন এর খাবার অত্যন্ত নিম্নমানের ফের আঙ্গুল উঠলো
নিউজ ডেস্ক জলপাইগুড়ি পাহাড়ি পাড়ার বাসিন্দা ডাক্তার রাহুল ভৌমিক। তিনি একজন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে তিনি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত। তিনি হাসপাতালের ডিউটি সেরে কামরূপ এক্সপ্রেস ট্রেনের এস-৮ কামরায় চেপে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। রাতে খাওয়ার জন্য ট্রেনের IRCTC কর্মীদের কাছে ভেজ মিল অর্ডার ও দেন।
প্যাকেট এ করে খাবার আসার পর উনি দেখে বুঝতে পারেন যে খাবার গুলো খুবই নিম্নমানের।
খাবার এর পরিমাণ ও অল্প। IRCTC-এর তালিকা অনুযায়ী ভেজ মিলে যে সকল খাবার থাকার কথা, তা ছিল না। এরপর তিনি খাবারের ছবি তুলে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেন। ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক এলে বিষয়টি তার কাছে অভিযোগ আকারে দায়ের করেন। তিনি IRCTC এর অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং খাবারের ছবি গুলি পোস্ট ও করেন। তিনি বিষয়টি DRM আলিপুর দুয়ার দিলীপ কুমার সিংকে টেলিফোনে অভিযোগ আকারে জানান। চিকিত্সকের পাশাপাশি কামরায় থাকা আরও কয়েক জন যাত্রীও সরব হয়েছেন।
IRCTC এর চার্ট অনুযায়ী ট্রেনের যাত্রীরা ভেজ বা নেন ভেজ মিলে যেই যেই জিনিস যতটা পরিমানে যেই দামে পাওয়ার কথা –
১) ডিম ভাত:- ৯০/-
ডিম – ২টি
ভাত – ১৫০ গ্রাম, ২ টি পরোটা বা ৪টে রুটি।
ডাল – ১৫০ গ্রাম, দই ৮০ গ্রাম অথবা মিষ্টি, আচার ১ প্যাকেট।
জল – ২৫০ এম এল
২) নিরামিষ:- ৮০/-
ভাত – ১৫০ গ্রাম, ২টি পরোটা বা ৪ টে রুটি।
ডাল – ১৫০ গ্রাম
মিক্স ভেজ – ১০০ গ্রাম
, দই ৮০ গ্রাম অথবা মিষ্টি , আচার ১ প্যাকেট।
জল – ২৫০ এম এল।
৩) চিকেন:- ১৩০/-
চিকেন – ৬০ গ্রাম ( বোনলেস) সাথে ৯০ গ্রাম ঝোল।
ভাত – ১০০ গ্রাম ডাল অথবা সাম্বার ১৫০ গ্রাম। ২ টি পরোটা বা ৪ টে রুটি।
দই ৮০ গ্রাম অথবা মিষ্টি , আচার ১ প্যাকেট।
এই সমস্ত জিনিসগুলি একটি ক্যাসারোলে ভরা থাকবে। টিসু পেপার ও চামচ দিতে হবে।
ডাক্তার বাবু জানান যে, শুধু আজকেই নয়, এর আগেও আমি এই ধরনের বাজে পরিষেবা পেয়েছি। গতকাল আমি ট্রেনে ওঠার আগে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে ক্যাটারিং সার্ভিস এর ম্যানেজারকে বলেছিলাম খাবার যেন ঠিকঠাক দেওয়া হয়। কিন্তু উনি আমার কথায় কর্ণপাত করলেন না। উল্টে খাবার কিনে একই সমস্যার সম্মুখীন হলাম।’ তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এর আগে মমতা ব্যানার্জি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন পরিষেবা অনেক উন্নত ছিল। কিন্তু এখন রেলের খাওয়া দাওয়া থেকে পরিচ্ছন্নতা সবকিছুই নিম্নগামী।
তিনি এও অভিযোগ করেন যে যাত্রীদের কাছ থেকে খাবার এর বেশি দাম পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনার পর ও যদি রেল কর্তৃপক্ষের হুশ না ফেরে তাহলে এর জন্য আবারও যাত্রীদের কেই ভুগতে হবে। তবে এই রকম আজ বলে নয় অনেক বছর ধরেই এই এক রকম ঘটনার শিকার সাধারণ মানুষজন।