চাকা গড়াতেই মহিলার আর্ত চিৎকার, ঘটনাটি কি?

0 0
Read Time:2 Minute, 52 Second

নিউজ ডেস্ক গেটের কাছে দাঁড়িয়েই সেলফি তুলতে মগ্ন ছিলেন ওঁরা। সঙ্গে ছিল কোলের শিশুটিও। বাচ্চাটিকে সঙ্গে নিয়েই উঠছিল একের পর এক ছবি। কখনও স্বামী স্ত্রী একসাথে। কখনও আবার সন্তানকে নিয়ে। এই রকম কিছুক্ষণ চলার পরই হঠাৎ মহিলার চিকিৎকার। বিপদ যে তখন নেমে এসেছে বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারোর। যাত্রীরা দৌড়ে গেটের কাছে গিয়েই দেখলেন ভয়ঙ্কর কাণ্ডটি ঘটে গিয়েছে ততক্ষণে। চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছেন মহিলা। বাচ্চাটি কেঁদে চলেছে অনর্গল। আর ওই মহিলার স্বামী? তিনি কোথায়? বাকিটা বুঝতে অসুবিধা হল না কারোর।

পূর্ব মেদিনীপুরের ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আপ মেছেদা লোকালে ওঠেন লক্ষ্মী হালদার এবং টোটন ঘাঁটি নামে স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে ছিল তিন বছরের শিশুকন্যা। এইবার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁরা দু’জন সেলফি তুলছিলেন। ট্রেনটি যখন আশাপূর্ণা স্টেশন ছেড়ে বেরোয়, সেই সময় হঠাৎ লক্ষ্মী দেবী পড়ে যায়। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন বাকি যাত্রীরা। চেন টেনে ট্রেনটিকে দাঁড় করান তাঁরা। গুরুতর জখম অবস্থায় মহিলাকে যাত্রীরাই কাঁথি রেল স্টেশনে এনে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে ঘটনার পর থেকে কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর ওই মহিলার স্বামী টোটনের। একপ্রকার বেপত্তা হয়ে যায় সে। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। স্ত্রীর এই বিপদে তাঁকে এবং ছোট্ট সন্তানকে ফেলে রেখে ওই ব্যক্তি কোথায় চলে গেলেন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেরই সন্দেহ তাহলে কি সেই স্ত্রীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে? নাকি বিষয়টি সম্পূর্ণ দুর্ঘটনা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, লক্ষ্মী ও টোটোনের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার কনকপুরে। বর্তমানে ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অচৈতন্য অবস্থায় রয়েছেন তিনি। তাঁর জ্ঞান ফিরলে বাকি সমস্ত তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!