সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা
সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার জেরে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখার হাতে গ্রেপ্তার নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক-ও তিনজন। রায়দিঘির একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
রায়দিঘির একটি হোটেলে জড়ো হয়েছে তিনজন। তাদের মধ্যে একজন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কুমার কয়াল। বাকিরা শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডল। ওই হোটেলে হানা দেন আধিকারিকরা। টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ওই তিনজনকে।
তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। ধৃতদের শনিবারই ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে। তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্তকারীরা। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত, ধৃতদের জেরা করে সে তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে ।
২০১৬ সাল থেকে তাপস সাহা ছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক। এখন তিনি তেহট্টের বিধায়ক। তাঁর আপ্তসহায়ক হিসাবে কাজ করত প্রবীর কুমার কয়াল। তখন থেকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রবীর আর্থিক দুর্নীতি করত বলে অভিযোগ । তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। প্রবীর কুমার কয়ালকে আপ্ত সহায়ক হিসাবে মানতে রাজি নন তিনি। বিধায়ক বলেন, ‘প্রবীর কোনওদিনই আমার আপ্ত সহায়ক ছিল না। শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডলকে আমি চিনি না। দোষীদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া উচিত।’