ব্যাংক বেসরকারিকরণে সংকটে দেশের অর্থনীতি
নিউজ ডেস্ক শ্রমিক দিবসেই ভারতীয় অর্থনীতির উপর কুঠারাঘাতের বার্তা। এদিন ‘অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল ব্যাংক অফিসার্স ফেডারেশন’ সমস্ত ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় সরকারের ভ্রান্তনীতির প্রতিবাদে এক সাংবাদিক বৈঠক করলেন। এআইএন বি ও এফ এর সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে সংস্থার ভূমিকার গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। তিনি জানান গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে একমাত্র ভরসা জাতীয় ব্যাঙ্কগুলি। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জাতীয় ব্যাংকের শাখা থাকলেও সরকারি ব্যাংকের কোন শাখা নেই। এদিকে ক্রমাগত ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধি হচ্ছে। তা সত্ত্বেও সরকার ব্যাংক গুলিকে বেসরকারিকরণ করার নীতি নিয়ে অনড় অটল। তাই সংস্থার দাবি সরকারি নীতি প্রয়োগের সুপারিশে জাতীয়কৃত ব্যাংক গুলিকে বেসরকারিকরণ করা কোন মতেই যাবে না।
এর ফলে সরকারি কর্ম সংস্থানের উপর চাপ পরার সাথে সাধারণ মানুষের সম্পদ ঝুঁকির মুখেও পড়বে। তাদের দাবি দেশের খেটে খাওয়া মধ্যবিত্ত মানুষদের কিছুতেই এই অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে দেওয়া যাবে না।দেশের ৬.৪২ লক্ষ্য গ্রামের মধ্যে মাত্র 50 হাজার গ্রামে ব্যাংকের শাখা রয়েছে। তাদের দাবি বাকি গ্রামাঞ্চল গুলিতেও ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিতে হবে। তাদের বিশেষ দাবি আমানতের সুদের হার বৃদ্ধি ও পরিষেবা চার্জ কমানো দরকার।
তারা বলেন আদানি এবং আম্বানি গ্রুপের নেট এন পি এ ব্যাংকিং সেক্টরের মোট কর্পোরেট এন পি এ এর থেকে বেশি। একটি দেশে সুস্থ অর্থব্যবস্থার জন্য এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায না। এই ধরনের বড় পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে দেশের সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই। সরকার এর বিরুদ্ধে কোনো কড়া পদক্ষেপ না নিয়ে বিভিন্ন হেয়ারকাট নীতি তৈরি করছে। সরকারের এই নীতিগুলো দেশের সম্পদ পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাকে ব্যাহত করে চলেছে। এই ফেডারেশন এর মূল দাবি দেশের অর্থনীতিকে কোনমতেই ধ্বংসের মুখে ফেলে দেওয়া যাবে না।