দোকানে লালবাতির বিক্রিতে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, ফিরহাদ
কারা কারা গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করতে পারেন তার সুস্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। তা সত্ত্বেও সেই তালিকার বাইরে থাকা কেউ কেউ লালবাতি ব্যবহার করছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। আর সম্প্রতি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় সেই অভিযোগ আরও প্রকট হয়েছে। আর এবার সেই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন লাল বাতিগুলি দোকানে বিক্রি হয়, আর সেই বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না সরকার। সরকারও প্রয়োজনে ওই দোকান থেকেই লালবাতি কেনে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এবার লালবাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেন সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকছে না সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বিভিন্ন দোকানে লাল বাতি বিক্রি হয়। সেইসব দোকানগুলোতে সরকার তল্লাশি চালাতে পারে না। কারণ সরকারও সেই বাতিগুলি প্রয়োজনে কেনে। দোকানে লালবাতি বিক্রি করা নিয়ে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, পুলিশকে বলা হয়েছে লাল বাতি কারা ব্যবহার করতে পারে সেই গাড়ির একটি তালিকা কাছে রাখতে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সেই তালিকা দেখে অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। সেই তালিকার বাইরে কেউ যদি গাড়িতে নীল বাতি বা লাল বাতি ব্যবহার করেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, কোনো প্রশাসনিক পদে নেই, বিধায়ক বা সাংসদও নন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলের একটি পদে থেকেও কী ভাবে এই সুবিধা পাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল, সেই প্রশ্নই উঠেছে আদালতে। আর সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম সরাসরি দাবি করেছিলেন, অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতির ব্যবহার ঠিক নয়। তাঁর লালবাতি ব্যবহারের কোনও অধিকারই নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি দেন, আইন ভেঙে কেউ গাড়িতে লালবাতি কিংবা নীলবাতি ব্যবহার করলে এবার সেই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করবে সরকার।