কিমের দেশে অদ্ভূত নিয়ম! কি জানেন?
উত্তর কোরিয়ার আজব নিয়মের কথা গোটা বিশ্বেই সুবিদিত। তার থেকে বেশি চর্চায় থাকেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন কিমের আজব কাণ্ড কারখানা বরাবরই সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। সেদেশের মানুষের না আছে কোনও স্বাধীনতা না আছে মন খুলে বাঁচার অধিকার। উত্তর কোরিয়ায় নাগরিকদের জীবন থেকে জীবিকা সবটাই নিয়ন্ত্রণ করে কিমের সরকার। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে গোটা বিশ্বে হালই সবার সামনে এসেছিল। চিন, উত্তর কোরিয়ার মতো বেশ কিছু দেশেই ছিল ব্যতিক্রম। তবে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, করোনা সংক্রমণের ফলে উত্তর কোরিয়াতে খাদ্য সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। করোনার পর আবার টাইফুনের দাপট সমস্যা আরও বাড়িয়েছিল। তবে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও চিরাচরিতভাবে খরা ও বন্যার ফলে নতুন করে সমস্যার মুখোমুখি উত্তর কোরিয়া। ফলে পরিকাঠামো উন্নয়নে সমস্যার ও সেচ ব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়েছে। করোনার ফলে তৈরি হওয়া আর্থিক সঙ্কট এখনও মেটেনি, তার মধ্যে সামনে আসা নতুন এই সমস্যায় সমাধানে আজব পদক্ষেপ নিয়েছেন কিম।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় ও কারাখানায় কর্মীরা এই সমস্যা সমাধানে কৃষকদের হাত ধরেছেন। গোটা দেশে সেচ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার কাজে কৃষকদের সাহায্য করছেন তারা। খরা প্রবন এলাকাগুলির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের তরফে তাদের এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সরকারি তরফে কোনও ক্ষয়ক্ষতির কথা ঘোষণা না করা হলেও তারা জানিয়েছে খরা পরিস্থিতির মোকাবিলাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার আবহাওয়া বিভাগ মঙ্গলবার জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের শুরু অবধি গোটা দেশেই শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। গোটা দেশের মোট গড় বৃষ্টিপাতের ৪৪ শতাংশ হওয়ায় সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে আবহাওয়া বিভাগ। মার্চ মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে খাবার সরবরাহের জন্য পিয়ংইয়াংকে সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি কিম প্রশাসন।