রবীন্দ্রনাথ কোন প্রেমকে খুঁজে পেয়েছিলেন ?
নিউজ ডেস্ক ‘মরণ রে, তুঁহু মম শ্যামসমান’। লিখেছিলেন তরুণ রবীন্দ্রনাথ। ভানুসিংহের ছদ্মনামে ‘মরণ’ কবিতায় মৃত্যুর অনুষঙ্গে ‘শ্যাম’ তথা প্রেমকে খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর কর্কশতাকে অনুভব করতে হয়েছিল তাঁকে। মৃত্যুর মাঝে অনন্তের প্রবাহকে খুঁজে ফিরলেও আপনজনদের হারানোর শোক যে তাঁকেও আকুল করেছিল, তা বোঝা যায় তাঁর প্রেতচর্চার অভ্যাসের দিকে ফিরে তাকালে।
তবে একথাও ঠিক, কম বয়স থেকেই প্ল্যানচেটের অভ্যাস ছিল রবীন্দ্রনাথের। শোনা যায় কিশোর রবির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল সদ্যমৃত মাইকেল মধুসূদন দত্তের। এরপর, কুড়ি-একুশ বছর বয়সে ফের প্ল্যানচেট করা শুরু করেন তিনি। কিন্তু সেবারের আসর দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কেননা অন্যতম উদ্যোক্তা হেমেন্দ্রনাথ আচমকাই মারা যান।
এর প্রায় পাঁচ দশক পেরিয়ে আটষট্টির প্রৌঢ় রবীন্দ্রনাথ এক ‘মিডিয়ামে’র সংস্পর্শে আসেন। মিডিয়াম অর্থে প্রেতচক্রে ডাক পাওয়া আত্মা যার দেহে ভর করে বা অন্যভাবে যার মাধ্যমে যোগাযোগ করে বাকিদের সঙ্গে। কবির বন্ধু ও বহু কাব্যগ্রন্থের প্রকাশক মোহিতচন্দ্র সেনের মেয়ে উমা দেবী ছিলেন সেই মিডিয়াম। তরুণী বুলার মধ্যে এই বিশেষ ক্ষমতার কথা জানতে পেরে নতুন করে রবীন্দ্রনাথ কৌতূহলী হন প্রেতচর্চায়।