কোভিড নিয়ে সাবধান করলেন জিংপিং
প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা ভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্ব। চিনের উহান থেকেই যে গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল এ কথা এখন সকলেই জানেন। একের পর এক করোনার ঢেউতে একদিকে যেমন প্রচুর মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন, অন্যদিকে মারণ ভাইরাস অনেকেরই প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চিনে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। চিনের রাজধানী বেজিংয়ের পর দেশের সব থেকে বড় শহর সাংহাইতে ভয়াবহভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের সঙ্গে যে আচরণ করছে, তার ভয়াবহ ছবি দেশে গোটা বিশ্ব তীব্র নিন্দা করেছিল। আগেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জ়িরো কোভিড নীতি নিয়েছিল চিন। চিনা নাগরিকরা সরকারি নির্দেশিকাকে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছিল। সরকারের জ়িরো কোভিড নীতি নিয়ে এবার মুখ খুলনের খোদ চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। সরকারি নির্দেশিকাকে যাঁরা প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন তাদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি সুর শোনা গিয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টের গলায়।
সাংহাইতে কোভিড নীতির কড়াকড়ির চিত্রটা সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ছড়িয়ে পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরবও হয়েছিল এবং খাদ্য সঙ্কটের প্রকট হওয়ার কারণে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল। বৃহস্পতিবার জিংপিংয়ের পৌরহিত্যে হওয়া চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো বৈঠকে জ়িরো কোভিড নীতির প্রসঙ্গটি ওঠে। সেই বৈঠকে স্পষ্টতই জানিয়ে দেওয়া হয় যে সরকারি নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং যারা সরকারি নিয়মের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলবেন তাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করতে হবে, এমনকী প্রয়োজন হলে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন জিংপিং। জিনহুয়া নিউজ সূত্রে জানা গিয়েছে বৈঠকে জিংপিং বলেন, “পার্টির পদ্ধতি মেনে করোনা নিয়ন্ত্রণের কাজ করে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের নেওয়া এই পদ্ধতি ইতিহাসে স্থান পেতে পারে। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতেই আমরা এই পদ্ধতি গুলি নির্ধারণ করেছি। উহানকে রক্ষা করার লড়াইয়ে আমরা সফল হয়েছি। সাংহাইয়ের লড়াইও আমরা অবশ্যই জিতব।” স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি আগেই জানিয়েছিল ব্যক্তিগতভাবে জ়িরো কোভিড নীতি বাস্তবায়নের আয়োজন করেছেন জিংপিং।