ভাসুরের লালসার হাত থেকে বাঁচতে পারেননি গৃহবধূ
0
0
নিউজ ডেস্ক সেই সন্ধ্যায় বাড়িতে একাই ছিলেন গৃহবধূ। ভাসুর চা খাওয়ার নাম করে ঘরে ঢুকেছিলেন। রান্নাঘরে যখন চা করছিলেন মহিলা , তখন আচমকাই পিছন থেকে তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলেন ভাসুর। সামনে উনুন, সেখান থেকে কোনওভাবে ঠেলে সরলেও, ভাসুরের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি
তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। থানাতে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন গৃহবধূ।
কিন্তু তারপর থেকেই বেপাত্তা। এক বছর পর কেরল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
২০২১ সালের জুলাই মাসে ধূপগুড়ি থানায় এক গৃহবধূ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মহিলার বয়ান অনুযায়ী, তাঁর ভাসুর তাঁকে ফাঁকা ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেছেন। অভিযোগ দায়েরের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেনতার ভাসুর। রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও অভিযুক্তকে ধরা যায়নি। কিন্তু তদন্ত চালিয়ে গেছে পুলিশ।
এই রাজ্য ছেড়ে কেরলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন অভিযুক্ত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানার পুলিশের দল কেরলে রাজ্যের কেনিচিড়া থানার অন্তর্গত এলাকায় হানা দেয়। পুলিশের সেই দলে ছিলেন এসআই ভবেস সুব্বা, শঙ্কর রায় । চার জনের দল নজর রাখে অভিযুক্তের ওপর। রবিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।
কেরলের কেনিচিড়া থানার অন্তর্গত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে এরপর রবিবার ধূপগুড়িতে নিয়ে আসা হয়। সোমবার তাঁকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পেরে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ধূপগুড়ির পুলিশ আধিকারিকরা।
