মাঠে দাঁড়িয়েছিল তৃণমূল কর্মী, সন্ধ্যায় ভয়াবহ ঘটনা
নিউজ ডেস্ক নদিয়ার পর এবার মুর্শিদাবাদ। ফের এক তৃণমূল কর্মীর উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটল। ওই যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার বারালার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় সোমবার রাতে। আহতের নাম সেরজুল শেখ। এলাকায় তিনি তৃণমূল কর্মী হিসাবেই পরিচিত। ঘটনার পর জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেরজুলকে। সেখানেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। অভিযোগ, এদিন সন্ধ্যায় এলাকারই মাঠে গিয়েছিলেন তিনি। এরপরই বাড়িতে খবর আসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সেরজুল। ছুটে যান বাড়ির লোকজন। পাড়া প্রতিবেশীরাও ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ এসে আহত ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এই ঘটনা নাকি এর পিছনে ব্যক্তিগত কোনও কারণ রয়েছে, খতিয়ে দেখছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
সেরজুল শেখের এক প্রতিবেশী বলেন, “পাড়াতেই দাঁড়িয়েছিল ছেলেটা। মাঠে ছিল। হঠাৎই খবর আসে, কেউ ওকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়েছে। বাজেভাবে মেরেছে ওকে। কী কারণে এমনটা হল জানি না। সেরজুল অচৈতন্য হয়ে পড়ে। আমরাই জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ও-ই একমাত্র বলতে পারবে যে বা যারা আক্রমণ করল পরিচিত মুখ কি না।” এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই যুবকের পরিবার। তারাও এই ঘটনায় ধোঁয়াশায়। জানা গিয়েছে, সেরজুলের পেটের কাছে ডানদিকে আঘাত করা হয়েছে। কোপানো হয়েছে ডান হাতেও।
উল্লেখ্য, গত ৮ই মে নদিয়ার চাকদহে এক তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা হয়। নারায়ণ দে নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। প্রথমে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় রাতেই তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করতে হয়। ওই ব্যক্তিও ঘটনার দিন বাড়ির পাশেই একটি জায়গায় বসেছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বারবার এই ধরনের হিংসায় প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা।