ইউক্রেন রক্ষার জন্য লড়ছে রাশিয়া : পুতিন
নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ অতর্কিতে ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়েছিল রাশিয়া। দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে লড়াই চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধ নিয়ে আড়াআড়ি বিভক্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতি। ইউরোপের এই যুদ্ধ শুরুর সময় থেকে যিনি সবথেকে বেশি চর্চায় থেকেছেন, তিনি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার, রাশিয়ার বিজয় দিবস উদযাপনের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখার সময় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সপক্ষে জোরাল সওয়াল করে গোটা ঘটনার জন্য কিয়েভ ও পশ্চিমীদেশগুলির কাঁধেই দোষ চাপিয়েছেন প্রাক্তন কেজিবি কর্তা। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিনের মঞ্চ থেকে নিজের জনসমর্থন অটুট রাখতে দেশাত্মবোধের আবেগকে কৌশলে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। প্রত্যেক বছরই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার নেতৃত্বাধানী নাৎসি জার্মানির সোভিয়েত রাশিয়ার কাছে পরাজয় উদযাপন করতে ৯ মে বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়।
মস্কোর রেড স্কোয়ারে সামরিক কুচকাওয়াজের ঠিক পরে নিজের বক্তব্য রাখার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রুশ সেনারা মাতৃভূমি রক্ষার কাজই করছে। রুশ সেনাকে উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনার মাতৃভূমির জন্য লড়াই করছেন। এই লড়াই দেশের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আমাদের যা শিখিয়েছে, সেটা যেন কেউ ভুলে না যায়।” অনেকেরই প্রত্যাশা ছিল যে এদিন বক্তব্য রাখার বড় কোনও ঘোষণা করতে পারেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। কিন্তু বিজয় দিবস উদযাপনের মঞ্চ থেকে পুতিনকে বড় কোনও ঘোষণা করতে শোনা যায়নি। কোনও কোনও সূত্র এটাও জানিয়েছিল, এদিন হয়তো আন্তর্জাতিক বিরোধীদের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তার হাঁটতে পারেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেন আগ্রাসনকে কখনই যুদ্ধ হিসেবে মানতে চায়নি রাশিয়া, বরাবরই তাদের দাবি ছিল, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এদিন আরও একবার এই কথাই শোনা যায় পুতিনের মুখে। তিনি বলেন কিয়েভ ও পশ্চিমীদেশগুলি রাশিয়ান-ভাষী ডনবাস অঞ্চল এবং রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত ক্রিমিয়া সহ ‘ঐতিহাসিক ভূমিতে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে’। এই বিপদ কোনওভাবেই গ্রহণ করা যাবে না বলে সটান জানিয়ে দিয়েছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ” আমাদের সীমান্তে এই ধরনের বিপদ কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”