মেয়ের মা, বাবা সবাই মানসিক ভাবে আমায় হেনস্থা করেছে, তাই খুন
নিউজ ডেস্ক প্রায় দু’ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদে মেসের বাইরে কলেজ ছাত্রী খুনের ঘটনায় এখনও ওই এলাকা জুড়ে থমথমে। এদিকে, দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অভিযুক্ত প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীকে। মোট ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের পর অভিযুক্তকে এদিন আদালতে তোলা হয়েছে।
বর্তমানে তাকে দু’দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এরপর ১৪ জুন ফের সুশান্তকে কোর্টে তোলা হবে।
সুশান্ত জানায়, ‘মেয়ের মা, মেয়ের বাবা সবাই মানসিক ভাবে আমায় হেনস্থা করেছে । তাই আমি খুন করেছি। আইন যা শাস্তি দেবে আমি মেনে নেব।’
সূত্রে খবর, সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরীর দাবি, করেন নিয়মিত তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করতেন সুশান্ত। সে কারণেই থানায় যান। যদিও এরপরও সুশান্ত সুতপাকে বিরক্ত করতেন। তবে স্বাধীনবাবু দ্বিতীয়বার আর থানায় যাননি। এখন স্বাধীন চৌধুরীর আফশোস, পুলিশকে সবিস্তারে জানালে তাঁর মেয়ের এই পরিণতি হত না।
তদন্ত যত এগোচ্ছে, একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, সুশান্ত প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সুতপাকে মারতে ছক কষেছিলেন। এই কাণ্ড ঘটাবেন বলে পনেরো দিন আগেই বহরমপুরে চলে যান। গোরাবাজারের জাহান বক্স লেনের একটি মেসবাড়িতে ওঠেন। সেখান থেকেই ‘মাস্টার প্ল্যান’।
জানা যায় সুতপাকে মারতে বন্দুকের পাশাপাশি ছুরিও কিনেছিলেন সুশান্ত। সেটি কোথা থেকে কিনেছিলেন তা জানতে বৃহস্পতিবার সুশান্তকে মালদহে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর সুশান্তকে সঙ্গে নিয়ে ইংরেজবাজার ও বহরমপুর পুলিশ যায় শহরের নেতাজি মার্কেটে সেখানেই একটি দোকান দেখান নির্বিকার সুশান্ত। জানান, ওই দোকান থেকেই ছুরি কিনেছিলে