অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যুতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোন ইঙ্গিত?

0 0
Read Time:2 Minute, 54 Second

নিউজ ডেস্ক অভিনেত্রী পল্লবী দের রহস্যমৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে টালিগঞ্জের এই অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ফ্ল্যাটেই পল্লবী তাঁর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে থাকতেন। পল্লবীর পরিবারের দাবি, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না। খুনের তত্ত্বকে সামনে এনেছে তারা। যদিও সূত্রের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় পল্লবী দের ময়নাতদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এসেছে, তাতে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন কাটাপুকুর মর্গে পল্লবীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন তিনি। তবে আত্মহত্যা করে থাকলেও তার পিছনে কোনও প্ররোচনা ছিল কি না তাও গড়ফা থানার পুলিশ খতিয়ে দেখছে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সাগ্নিককে।

রবিবার সকালেই গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুরের ফ্ল্যাট থেকে পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। বিছানার চাদর জড়ানো অবস্থায় ঝুলছিলেন অভিনেত্রী। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিস্ফোরক সব দাবি করেছেন পল্লবীর বাবা। তাঁর মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে সাগ্নিকের ভূমিকা সন্দেহজনক বলেই দাবি তাঁর। পুলিশ সাগ্নিককে আটকের পাশাপাশি মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করেছে গড়ফা থানার পুলিশ।

উল্লেখ্য, এদিন পল্লবীর বাবা অভিযোগ করেন, সাগ্নিক আইনিমতে বিবাহিত। তিনি একজনের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করেছেন। এখনও সেই ডিভোর্স হয়নি। এরইমধ্যে তাঁর মেয়ের সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। এমনকী প্রথমে পল্লবীকে সেই রেজিস্ট্রির বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি বলেও দাবি পল্লবীর বাবার। মাস ছয়েক আগে তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন। পল্লবীর বাবা বলেন, “এ নিয়ে সাগ্নিকের সঙ্গে কথা বললে ও বলেছিল ডিভোর্সের জন্য ও আবেদন করেছে।”

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!