জ্ঞানবাপী মসজিদে মিলল ১২ ফিট ও ৮ ইঞ্চি চওড়া শিবলিঙ্গ
নিউজ ডেস্ক জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে পাওয়া গেল শিবলিঙ্গ। আর শিবলিঙ্গের খোঁজ মিলতেই ওই অংশটি ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিল উত্তর প্রদেশের একটি আদালত। এদিন সকালেই জানা যায় যে, জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে অবস্থিত কুয়োর ভিতরে একটি শিবলিঙ্গের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় যে ভিডিয়োগ্রাফির কাজ চলছিল, সেই কাজ চলাকালীনই শিবলিঙ্গটিকে দেখা গিয়েছে। আজ মসজিদে ভিডিয়োগ্রাফির শেষদিন ছিল। আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে।
তবে, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ‘স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বর’ নামক একটি সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে মসজিদটি যে জমির উপরে তৈরি, সেখানে আসলে হিন্দু মন্দির ছিল। পাঁচজন মহিলাও দাবি করেন যে মসজিদের ভিতরে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে। এরপরই গতবছর বারাণসী আদালতের তরফে মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে মূলত মসজিদের পশ্চিম অংশ ও নীচের তল, যাকে ‘তেহখানা’ বলা হয়, সেই অংশটিতে ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে কিনা, তা স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। ফের আর্জি জমা পড়লে, আদালতের তরফে গোটা মসজিদের ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গুলি সহ গোটা মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দেওয়া হয়। বারাণসী আদালতের তরফে অজয়কুমার মিশ্র সহ তিনজন পর্যবেক্ষকের অধীনে তিনদিন ধরে ভিডিয়োগ্রাফির কাজ শুরু হয়।
আজ অর্থাৎ ভিডিয়োগ্রাফির শেষদিনে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ভিডিয়ো রেকর্ডিং শুরু হয়। ভিডিয়োগ্রাফির সময়ে সাধারণ মানুষের প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও, মামলাকারীদের তরফে হাজির এক আইনজীবী জানান, সকালে কুয়ো থেকে জল তোলা হয়। সেখানেই শিবলিঙ্গ দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
আইনজীবী দীপক সিং বলেছেন, “যে পাথরটি পাওয়া গিয়েছে সেটি ৩ ফুট উচ্চতার। তাঁরা এটিকে ফোয়ারা বলে দাবি করছেন। কিন্তু এটিকে পরিষ্কার করার পর দেখা যায় এটি একটি শিবলিঙ্গ।” তবে এরকম দাবিও উঠেছে যে শিবলিঙ্গটির উচ্চতা ১২ ফিট ও ৮ ইঞ্চি চওড়া। শিবলিঙ্গটির আকার ‘নন্দীমুখী’ বলেও দাবি করেছেন তারা। বর্তমানে কড়া পুলিশি পাহারায় গোটা এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। তবে জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিচালনকারী আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির এক উকিল সোমবার দাবি করেছেন যে, ‘শিবলিঙ্গ’ সম্পর্কে আবেদনকারীর দাবি বিভ্রান্তিকর।