জল ঢোকা আটকাতে এবার ‘কামান গোলা’ ব্যবহার

0 0
Read Time:2 Minute, 39 Second

নিউজ ডেস্ক বৃষ্টির মোকাবিলায় বউবাজারের ভূগর্ভে কংক্রিট দাগছে কেএমআরসিএল। প্রকোষ্ঠের ওয়াল মজবুত করতে বিশেষ ভাবে মিশ্রিত কংক্রিটের একটা স্তরই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেডের কর্তারা।

কড়া নির্দেশ এসেছে বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে, কংক্রিটের তিনটি স্তরের প্রলেপ দেওয়া হোক। মাটিতে বিছিয়ে থাকা কোনও স্ল্যাব তৈরি করতে হলে হয়তো যান্ত্রিক পদ্ধতিতে আরও বেশি করে কংক্রিট ঠেসে দিতে পারতেন ওঁরা। কিন্তু এক্ষেত্রে সামনে খাড়া দেওয়াল। তাই একমাত্র উপায় ‘কামান দাগা’। গোলা নয়, তার বদলে ‘কামানের নল’ থেকে বেরিয়ে আসছে রাসায়নিক মেশানো কংক্রিটের তাল। যে ভাবে করা হয়েছিল জল আটকাতে গ্রাউটিং। এবার দেওয়াল জুড়ে মাটির ২৮ মিটার নীচের থেকে খাড়া দেওয়ালে এই কংক্রিটের তাল পর পর আছড়ে পড়ছে শাফটের দেওয়ালে। যে যন্ত্র থেকে গোলার বদলে এমন ভাবে কংক্রিট ছোড়া হচ্ছে, তা দেখতে কামানের মতই।

বর্ষায় বউবাজার দুর্গা পিতুরি লেনে নতুন করে যাতে বিপর্যয় না নামে তার জন্যই এমন ব্যবস্থা। দুর্গা পিতুরি লেনে মাটির নীচে ঠিক কী করতে চলেছেন কেএমআরসিএল-এর প্রযুক্তিবিদরা? প্রকল্প নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘যে জায়গা দিয়ে জল ঢুকে এসেছিল, আগে এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে সেই জায়গা দিয়ে আর জল ঢুকতে না পারে। এর জন্য প্রথমেই অনেকটা এলাকায় কংক্রিট ঢেলে দেওয়া হয়েছে। এবার আমাদের নজরে দেওয়ালের মত খাড়া কোনও নির্মাণের গায়ে কংক্রিটের স্তর জমাতে গেলে। এর জন্যই বিশেষ যন্ত্র দিয়ে কংক্রিটের তাল ছোড়া হচ্ছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিভাষায় একেই বলা হয় ‘শট ক্রিট’।”

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!