অক্ষয়ের ছবি ‘পৃথ্বীরাজ’ মুক্তির আগেই বিতর্কের মুখোমুখি
নিউজ ডেস্ক কোথাকার সম্রাট ছিলেন পৃথ্বীরাজ চৌহান? ঐতিহাসিক এই চরিত্রটি নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই প্রায় সকলেই বলবেন রাজপুত রাজা ছিলেন তিনি। সেই ঐতিহাসিক চরিত্রের নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন অক্ষয় কুমার। ‘পৃথ্বীরাজ’ নামাঙ্কিত এই ছবির ট্রেলার লঞ্চ হওয়ার পর নানা খবর সামনে আসছে। যেমন, পরিচালক চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী ছবির চরিত্রদের নিঁখুত সাজসজ্জার জন্য ৫০ হাজার পোশাক আর ৫০০ পাগড়ি তৈরি করান রাজস্থানী শিল্পীদের দিয়ে। এমনকী পাগড়ি পরানোর জন্যও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকেও রাখা হয় সেটে। ছবির বাজেট প্রায় ৩০০ কোটি। পরিচালকের পছন্দের নায়ক সানি দেওলের বদলে প্রযোজক সংস্থা অক্ষয় কুমার নেন এই ছবিতে। কারণ তাদের মনে হয়েছে তিনি সানির থেকে বেশি ‘সেলেবল’।
এবার আরও একটি খবর এসেছে প্রকাশ্যে। জানা গিয়েছে দ্য অখিল ভারতীয় বীর গুর্জার মহাসভা থেকে গত বছর ছবির প্রযোজকদের কাছে যাওয়া হয়। কারণ তাঁদের দাবি পৃথ্বীরাজ রাজপুত নন, তিনি ছিলেন গুর্জর। ছবিতে যেন সেটা দেখানো হয়। সেই নিয়ে তথ্যও নাকি তাঁরা দিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রেলার লঞ্চের পর দেখা যাচ্ছে পৃথ্বীরাজকে রাজপুত সম্রাটই দেখানো হয়েছে।
পৃথ্বীরাজ চৌহান দ্বাদশ শতাব্দীর যোদ্ধা রাজা। তার শাসন উত্তরে স্থানবিশ্বরা (থানেসার) থেকে দক্ষিণে মেওয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। রাজস্থানের বর্তমান আজমীর ছিল তার রাজ্যের রাজধানী। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে, অখিল ভারতীয় বীর গুর্জর মহাসভা দাবি করেছে যে মহাকাব্যে উল্লিখিত তথ্যগুলি প্রমাণ করে যে পৃথ্বীরাজ চৌহান একজন গুর্জার শাসক ছিলেন। মহাসভার আচার্য বীরেন্দ্র বিক্রম দাবি করেছেন যে পৃথ্বীরাজ রাসো পার্ট ১-এ পৃথ্বীরাজ চৌহানের বাবা সোমেশ্বরকে গুর্জর হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর আরও দাবি বহু ঐতিহাসিত তথ্য প্রমাণ দেয়, যে পৃথ্বীরাজ গুর্জরই ছিলেন।