স্বচ্ছ নন ব্রাত্য বসুও
নিউজ ডেস্ক সার্ভিস কমিশনে শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে যে দুর্নীতি তা সামনে এসেছে। সিবিআই তদন্তের জেরে বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন এই রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী। পরেশ অধিকারীকে সব মিলিয়ে প্রায় ১৭ ঘন্টা জেরা করেছে ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও একাধিকবার জেরা করা হয়েছে।
সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদনও করেছিলেন পার্থ। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেন । এদিন ১০ টা ৫০ নাগাদ নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে উপস্থিত হন তিনি। তবে সিবিআই আধিকারিকদের সামনে বসার আগে বাড়িতে নিজের আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে নেন পার্থ। সিবিআই দাবি করেন যেহেতু ওই সময় শিক্ষামন্ত্রী পদে তিনিই ছিলেন। তাই যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে তাতে জড়িয়ে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ।
এরই মধ্যে অন্য একটি বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ পিটিটিআই শিক্ষক আন্দোলনের নেতা পিন্টু পাড়ুই।
পার্থকে পিন্টুর দাবি, ‘স্কুল সার্ভিস নিয়ে যা হচ্ছে যদি প্রাথমিকের ফাইল খোলা হয় তাহলে ফেঁসে যাবে অনেক বড় বড় মাথা।’ তারা কারা? উত্তরে পিন্টু বলেন, তখন ২০১২ সাল, আমি তৃণমূলের সাথে ছিলাম। আমি সাক্ষী আছি সব ঘটনার। ২০১২ সালের টেট নিয়োগে ৯৫ শতাংশ নিয়োগ হয়েছিল বেআইনিভাবে। এবং তা হয়েছিল পর্ষদ সভাপতি মাণিক ভট্টাচার্য এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর তত্বাবধানে।’ তিনি বলেন স্বচ্ছ নন ব্রাত্য বসুও,
২০১২ সালের এই নিয়োগে জড়িয়ে রয়েছেন অনেক বিধায়ক। পিন্টুর কথায়, ‘আমি নাম ধরে ধরে বলতে পারি কোন বিধায়কের নির্দেশে কতজন নিয়োগ হয়েছে , আমার কাছে বেশ কিছু বিধায়কের তালিকা রয়েছে।’
তাঁর আরও অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পিছনে যে যে ঘটনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সিড়ি হিসেবে কাজ করেছিল তাঁর মধ্যে অন্যতম পিটিটিআই সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি। ১০ শতাংশ রিজার্ভেশন দেওয়ার ঘোষনা করেও সেই কথাও রাখেন নি মমতা।
পিন্টুর আরও অভিযোগ, পিটিটিআই দের জন্যে নির্দিষ্ট ১০ শতাংশ রিজার্ভেশনের শূন্যপদগুলি বিক্রি করে দেওয়া হয় বিরাট টাকার বিনিময়ে। এবং সেটা হয় রাজনৈতিক নেতাদের ইচ্ছা অনুযায়ী। এখনও পর্যন্ত পিটিটিআই সমস্যার সমাধান করা হয়নি।