দেখা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে

0 0
Read Time:4 Minute, 4 Second

সবটাই যেন স্বপ্নের মত মনে হচ্ছিল। মনে করছেন ইংরেজবাজারের খুদে মেয়েটি ও তার পরিবার । সায়ন্তিকার বাবা পেশায় গাড়ি চালক। মা গৃহবধূ। তাঁরাও আজ মেয়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন।

দুই দিদির স্বপ্ন সফলের পেছনে এই কন্যাশ্রী প্রকল্প। দ্বিতীয় শ্রেণির সায়ন্তিকা দাসও রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের জন্যই নির্ভয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তাই মমতা দিদির কাছে কৃতজ্ঞ ইংরেজবাজারের মনস্কামনাপল্লী এলাকার সায়ন্তিকা । মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে সাইকেলে সুদূর মালদা থেকে কালীঘাটে আসার কথা ছিলো সায়ন্তিকার। সবটাই জেলাশাসক মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জানান হয়। শেষে নবান্নের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়।

‘মেয়ের দাবি মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রকে জানিয়েছিলাম। এসডিপিও এবং ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানকেও জানানো হয়েছিল। জেলাশাসকই অক্লান্ত চেষ্টা করেছেন। সব জানার পর মুখ্যমন্ত্রী সায়ন্তিকার সঙ্গে দেখা করতে রাজী হয়েছেন তবে সাইকেলে করে কলকাতায় আসতে নিষেধ করেন। রীতিমত ধমক দেন তিনি এবং বলেন ওর সঙ্গে ২৬ তারিখই দেখা করব।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মত বুধবার রাতে সরাইঘাট এক্সপ্রেসে চড়ে সায়ন্তিকা ও তাঁর বাবা, মা। সঙ্গে ছিল সাইকেল। ভোট কলকাতায় নামেন তাঁরা। এরপর সার্কিট হাউসে বিশ্রাম নেন। সকাল ১০টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার সার্কিট হাউস থেকেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় সাইকেলে চড়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান সায়ন্তিকা। খাওয়াদাওয়ার শেসে স্বপ্ন সফল হওয়া। নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে খুদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সায়ন্তিকার বাবা প্রদীপবাবু বলেন, ‘দিদি এসেই আমার মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন। ওনার থাকার ঘর, অফিস, বাড়ির চারপাশ ঘুরিয়ে দেখান। এরপর মেয়ের সঙ্গে গল্প শুরু করেন। একফাঁকে মেয়ে দিদির জন্য মালদা থেকে আনা আমসত্ত্ব ও আম গাছ ওনাকে দেয়। তিনি তা গ্রহণ করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে আম গাছটি বাড়ির পাশেই পুঁতে দিতে নির্দেশ দেন। দিদিও আমার মেয়েকে তাঁরই লেখা কবিতার বই কবিতাবিতান সেখানে সায়ন্তিকার নাম লিখে সই করে উপহার দিয়েছেন।
এরপর মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেন সে বড় হয়ে কী হতে চায়? মেয়ে বলে আইএস অফিসার। শুনে দিদি বলেছেন, কোনও অসুবিধা হবে না। যেকোনও প্রয়োজনে তুমি আমাকে পাশে পাবে। তুমি শুধু নিশ্চিন্তে পড়াশুনো কর।’ মেয়েকে ভালো করে পড়ানোর জন্য প্রদীপবাবুকেও পরামর্শ দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর দেখা পেয়ে আপ্লুত খুদে সায়ন্তিকা। জীবনের অন্যতম বড় পাওয়া পূরণ হল তাঁদের। এ দিনই দুপুরে গাড়িতে চড়ে কলকাতা থেকে মালদার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!