তবে মুক্তির আগেই ছবির থেকে সরে দাড়াচ্ছেন যশ
নিউজ ডেস্ক ১০ই জুন মুক্তি পাওয়ার কথা যশ-এনার ছবি ‘চিনে বাদাম’-র। তার আগেই ছন্দপতন। ‘চিনে বাদাম’ ছবির সঙ্গে আর যুক্ত নই। রবিবার সকালে টুইট করে জানালেন ছবির মুখ্য অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর। কিন্তু হঠাৎ কী এমন ঘটল? ‘চিনে বাদাম’ থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসাবে যশ টুইট করে জানান, ”ছবির ক্রিয়েটিভ বিষয় নিয়ে প্রযোজনা সংস্থা এবং পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিকের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে আমি নিজেকে ‘চিনে বাদাম’ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।”
যশ আরও লিখেছেন, ”তবে আমি এই ছবিটাতে নিজের সমস্ত হৃদয় ও আত্মা দিয়ে কাজ করেছি। তাই চাই না ছবিটা নষ্ট হোক। আমি ছবির নির্মাতাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যদি তেমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন আমি ছবি থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ সামনে আনব।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ছবি মুক্তির দিন আসন্ন। সেখানে আচমকা কী এমন ঘটেছে যাতে ‘চিনে বাদাম’ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন যশ দাশগুপ্ত। এ বিষয়ে ছবির পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক জানান, ”আমি প্রতিটা ছবির ক্ষেত্রেই চেষ্টা করি প্রযোজকের টাকা যেন উঠে আসে। যে প্রযোজক আমার ক্রিয়েটিভিটিকে মেনে নেন তাঁর সঙ্গেই কাজ করি। আমার সঙ্গে জারেকের বোঝাপড়া ভালো। আমি ছবিটা আমার মতো বানাচ্ছি, আর ওরা আমায় সমর্থন করছে। এখনও পর্যন্ত চিনে বাদাম-এর যা কিছু প্রকাশ পেয়েছে, যেভাবে প্রচার হচ্ছে তার প্রশংসাই হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে ভালো লেগেছিল বলেই যশ আমার ‘মাস্টারমশাই’ ছবিটা করতেও আগ্রহ প্রকাশ করে। সেটাতেও ও কাজ করছে। তাই কাল রাতে কী এমন ঘটেছে আমি জানি না! ছবিটা আর ৫দিন পর মুক্তি পাবে, তাহলে ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্সেস কী হবে? কারণ এখন তো ক্রিয়েটিভিটির কিছু করছি না, শুধু মার্কেটিং-এর কাজ করছি। গত পরশু ও আমার সঙ্গে ছবির প্রচারে গিয়েছিল। তবে কাল টাইটেল ট্র্যাক বের হওয়ার পরই ও বিরক্তি প্রকাশ করে! তবে ঠিক কী হয়েছে আমি সত্যিই জানি না। এখন যে স্টেজে আছি, তাতে মার্কেটিং যা বলছে সেটাই করছি। এখানে ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্সের কী আছে? তবে ও আমায় বলেছিল ৪ নম্বর গানটা (টাইটেল ট্র্যাক) করার দরকার কী ছিল? তবে প্রযোজক আমায় বলেছিল, তাই দরকার তো ছিলই। কারণ প্রচারের জন্য যত বেশি কনটেন্ট হবে ততই ভালো।”