Aryan khan:আমার কি এটা প্রাপ্য ছিল? 

0 0
Read Time:3 Minute, 15 Second

শাশ্বতী চ্যাটার্জি::২০২১ সালের ২রা অক্টোবর মুম্বাই বন্দরে বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজে অভিযান চালান নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা। আর সেই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এনসিবি-র তৎকালীন মুম্বই প্রধান অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। সেখানেই মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান খান সহ তাঁর আরও ৫জন বন্ধুকে। এর পরেই এনসিবি-র মুম্বই জোনাল ডিরেক্টরেট দ্বারা মামলা প্রস্তুত করা হয়। এবং সেখানে আরিয়ান সহ অন্যান্য সকল অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা কোর্টে ওঠে। এনসিবি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে তাঁদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ ড্রাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এমনকি আরিয়ানের সম্পর্ক ছিল একটি আন্তর্জাতিক ড্রাগ সিন্ডিকেটের সঙ্গেও, এমনই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও তুলে ধরেছিলেন এনসিবি কর্তারা।


সিটের নেতৃত্ব এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বে এই মামলাটি তদন্ত করছিল। কর্ডেলিয়া ক্রুজ ড্রাগ বাস্টে আরিয়ান খান এবং অন্য পাঁচজনের গ্রেপ্তার হওয়ার এক মাস পরে সিট গঠিত হয়। মূলত এই মামলা হওয়ার পর বেশিকিছু অভিযোগ উঠেছিল সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার জন্য আরিয়ানকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠে। আর তারপরেই এই মামলার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য গঠিত হয় সিট। আর সিটের তত্বাবধানে তদন্ত করার পর ২০২২ সালের ২৮ মে মাদক মামলায় পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন আরিয়ান খান।
সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরিয়ান বলেন, ‘আমাকে একজন আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী হিসাবে চিত্রিত করে অভিযোগ করা হয়েছিল যে মাদক পাচার করে আমি টাকা রোজগার করি। কিন্তু এই অভিযোগগুলি কি অযৌক্তিক নয়? তারা আমার কাছে কোন মাদক খুঁজে পায়নি। সেই দিন এবং তবুও আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’ সেইসঙ্গে আরিয়ান আরও বলেন যে, ‘তাঁরা আমার সঙ্গে বড় অন্যায় করেছেন এবং আমার সুনাম নষ্ট করেছেন। কেন আমাকে এত সপ্তাহ জেলে কাটাতে হয়েছিল? আমার কি সত্যি এটা প্রাপ্য ছিল?’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!