Politics:মহা-খেলা উদ্ধবের!
শাশ্বতী চ্যাটার্জি::সূত্রের খবর অনুযায়ী, সরকারের তরফে শিবসেনার ১২ বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণার জন্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সরকার পক্ষের তরফে যাঁদের অযোগ্য ঘোষণার দাবিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন, একনাথ শিন্ডে, তানাজি সাওয়ন্ত, মহেশ শিন্ডে, আব্দুল সাত্তার, সন্দীপানরাও ভুমরে, ভারতশেট গোগাওয়ালে, সঞ্জয় শিরসাত, ইয়ামিনী যাদব, লতা চন্দ্রকান্ত, অনিল বাবর, প্রকাশ সুরভে এবং বালাজি কিনিকার।তবে মহারাষ্ট্রের এমভিএ সরকারের এই আবেদনে কিছুটা মুশকিলে পড়তে পারে একনাথ শিন্ডে শিবির। কেননা তাদের কোনও আবেদনে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে সরকার পক্ষের আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ডেপুটি স্পিকারকে।
ডেপুটি স্পিকারের কাছে ১২ জন বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণার জন্য চিঠি দেওয়ার খবর পাওয়ার পরে একনাথ শিন্ডে বলেছেন, ভয়ে দেখানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু কাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন, প্রশ্ন করেছেন একনাথ। তিনি বলেন, আইন তাঁরাও জানেন। একনাথ বলেছেন, সংবিধানের দশম তফশিল অনুযায়ী হুইপ হল বিধানসভার কাজে জন্য, বৈঠকের জন্য নয়। এব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার কথা বলেছেন একনাথ শিন্ডে।
দলভাঙানোর জন্য একনাথ শিন্ডের প্রয়োজন ছিল দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন। বিধানসভায় শিবসেনার ৫৫ সদস্যের মধ্যে ইতিমধ্যে সেই সমর্থনের জন্য ৩৭ জন বিধায়ককে সঙ্গে পেয়ে গিয়েছেন একনাথ। বলা ভাল বিধায়কদের সমর্থন ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে শিবসেনার প্রতিষ্ঠার পরে ৫৭ বছরের মধ্যে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। তবে একনাথ শিবিরের ওপরে চাপ বাড়াতে মহা বিকাশ আঘাডির তরফে দাবি করা হয়েছিল বিদ্রোহী শিবিরের অন্তত ১৭ জন বিধায়ক তাদের দিকে ফিরে আসতে তৈরি। যদিও একনাথ শিন্ডে বলেছেন, ৪০ জন বিধায়কের কেউই তাঁদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন না। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, তাঁদের শিবিরে আরও বিধায়ক যোগ দিতে চলেছেন।