Puja:ঈদের সময়ে দুর্গোৎসবের খুঁটি পুজোয় কালী আরাধনা
শাশ্বতী চ্যাটার্জি::আজ পবিত্র ঈদুল আধা। আর এসবের মাঝে দেশ জুড়ে চলছে কালী বিতর্ক।
সামনে আছে দুর্গাপুজো যা সম্প্রীতির উৎসব। সব ধর্মের মানুষের মিলন উৎসব। দেশ জুড়ে যখন ধর্ম নিয়ে নানা বিতর্ক বারবার উঠে আসছে, নানা সঙ্কট তৈরি হচ্ছে তখনই এক অভিনব খুঁটি পূজা করল তপসিয়া গেটে। দুর্গা মণ্ডপের খুঁটি পুঁতলেন মন্ত্রী জাভেদ খান।
দেখা গেল দুর্গা পুজোর খুঁটি পুজোয় হল জ্যান্ত কালী পুজো। একদিকে হচ্ছে দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজো সঙ্গে আবার হচ্ছে কালীর আরাধনা। আবার তা হচ্ছে ঈদের সময়ে। বলা চলে সর্বধর্ম সম্মেলন। মন্ত্রী জাভেদ খান বলেন , ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেইছেন ধর্ম ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমিও সেই কথা মানি। তাই এই দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজোয় আমি হাজির হয়েছি। মানব ধর্মই হল আসল ধর্ম, এতো সবাই জানে, কিন্তু দেশে তো তা হারিয়ে যেতে বসেছে। কারা উস্কানি দিচ্ছে তা নিয়ে আর নতুন করে বলার নেই। এ সত্যিই এক দুরুহ সময়। কঠিন সময়ে বাংলা সব সময় পথ দেখিয়েছে। তাই দেশকে সেই পথ দেখাতেই এই অভিনব খুঁটি পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পবিত্র ঈদের সময়ে দুর্গোৎসবের ঢাকে কাঠি, সঙ্গে কালী আরাধনা। বুঝতেই পারছেন কীভাবে সম্প্রীতির বার্তা দিতে চাওয়া হয়েছে। এখান থেকেই এই বার্তা দেশের প্রত্যেকটি স্থানে পৌঁছে যাক। ধর্ম তখনই থাকবে যখন মানুষ থাকবে। একে অপরের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে যদি মানুষই না থাকে তাহলে আর ধর্মকে মেনে নেওয়ার মানুষ থাকবে কোথায়? তো এই বার্তাগুলোই দেওয়া। সেটা করতেই এই আয়োজন।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা লীনা মণিমেকলাই তাঁর ছবিটির পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পরপরই বিতর্ক শুরু হয়। পোস্টারে দেবী কালীর পোশাকে একজন মহিলাকে দেখানো হয়। ছবিতে তাঁকে সিগারেট খেতে দেখা যায়। ত্রিশূল এবং কাস্তে তার স্বাভাবিক পোশাকের পাশাপাশি, দেবীর ভূমিকায় অভিনয় করা অভিনেতাকে ‘LGBTQ’ সম্প্রদায়ের পতাকা ধারক হিসাবে দেখানো হয়েছে। আর এই কারণে লীনা মণিমেকলাইয়ের বিরুদ্ধে এখন ভারত জুড়ে একাধিক এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। এই কালী নিয়ে আবার মহুয়া মৈত্র মন্তব্য করে বলেন দেবী মাংসাশী এবং মদ গ্রহনকারী। তা নিয়েও চলছে বিতর্ক। তাঁকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ সব কিছু ভুলে শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল রাজনীতি।