কোন ক্ষেত্রে ১০০টা চাকরি দিতে গেলে ১টা নিজের লোককে দেয় না?
নিউজ ডেস্ক::নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক।
যোগ্য প্রার্থীকে বাদ রেখেই টাকা’র বিনিময়ে মিলেছে সরকারি চাকরি। এহেন একের পর এক এক কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, ন্যায্য চাকরি’র দাবিতে লাগাতার আন্দোলন- বিক্ষোভ চলছে চাকরি প্রার্থীদের। আর এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আরও একবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সোমবার সরকারি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। আর সেখান থেকেই কার্যত নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
আর এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা জানান, আমি কোনও দিন দুর্নীতিকে সাপোর্ট করি না। তবে আজ আমি দুঃখিত এবং মর্মাহত। ভুল করাটাও একটা অধিকার বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। আর এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই মমতা জানান, যে দিন আমি শুনেছিল কয়েকটা ছেলে -মেয়ে বঞ্চিত হয়েছে। আর তাঁদের নিয়ে সিপিএম, বিজেপি রাস্তায় নেমেছে শুনেই হুটে গিয়েছিলাম। আর এরপরেই তদানীন্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম এই কটা কেস করে দিন।
তাঁরা জানিয়েছিল, এক্ষেত্রে কিছু আইন-কানুন আছে। কিন্তু এবার ক্যাবিনেটে যে কোনও বঞ্চিত তা ছাড়াও আও তালিকা লম্বা করা হয়েছিল। চাকরি পেতে নয়া পোস্ট তৈরি করা হয়েছিল বলে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে সবাই সঠিক কাজ করে না বলে দাবি তাঁর। তবে পুরো বিষয়টির মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অন্যায় করলে মন্ত্রীরাও ছাড় পাবে না বলে মন্তব্য তাঁর।
তবে এই বিষয়ে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, কোন চাকরি’র ক্ষেত্রে আপনি বলুন তো ১০০টা চাকরি দিতে গেলে ১টা নিজের লোককে দেয় না? আপনারাও তো বিভিন্ন জায়গাতে নানারকম প্রতিষ্ঠান চালান। কাকে আপনি রাখেবন আর কাকে না সেটা তাঁর নিজস্ব বাপার। তবে এই সরকার আইন মেনে চলে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। তবে এক লক্ষ ছেলে-মেয়ের চাকরি হল কমপ্লেন করল ২০০ জন!! কার্যত এর মধ্যে বিরোধীদের চক্রান্তই দেখতে পাচ্ছেন সুপ্রিমো। ১ লক্ষ ছেলে মেয়ে যারা করে খাচ্ছেন তাঁদের সবাইকে এক জায়গাতে ফেলবেন? প্রশ্ন তাঁর। এতে তো চাকরি কমে যাবে বলে আক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আমি কিছু জানতে পারলান না বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী। জানলে তখনই ব্যবস্থা নেওয়া যেত বলে দাবি তাঁর। উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতি সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে চাকরি গিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের। আর এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবি ঘিএ শুরু হয়ছে জোর বিতর্ক।